স্বপ্নযোগে নবিজী কতৃক রোগমুক্তির দোয়া
এক বুজুর্গ বলেন, একবার আমি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে জীবন সম্পর্কে একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়লাম। ঐ অবস্থায় একদিন আমি বৃহস্পতিবার রাতে স্বপ্নে দেখলাম, এক ব্যক্তি আমার ঘরে আগমন করে আমার শিয়রে উপবেষন করেলন। তার পেছনে পেছনে আরো অনেক মাখলুকত আমার ঘরে প্রবেশ করল। তারা সবাই পাখির সূরতে ঘরে প্রবেশ করেই মানুষের ছুরত ধারণ করে প্রথমোক্ত ব্যক্তির ডানে, বামে ও পেছনে বসে পড়ল। সবার আগমন শেষ হলে সেই ব্যক্তি মাথা উঠিয়ে বললেন, আমি এ শহরে তিন ব্যক্তিকে দেখতে এসেছি। অতঃপর আমার দিকে ইশারা করে বললেন, একজন ব্যক্তি অপর জন ছালকানী, সবশেষে ( নাম না নিয়ে) একজন মহিলার কথা উল্লেখ করলেন। অতঃপর আমার কপালে হাত রেখে দোয়াটি পাঠ করলেন-
অনুবাদঃ আল্লাহর নামেই রোগমুক্তি কামনা করছি। আল্লাহই আমার রোগমুক্তির জন্য যথেষ্ট। আল্লাহর উপর আমি ভরসা করছি এবং আমার সকল বিষয়ে আল্লাহর উপর সোর্পদ করছি। আল্লাহ পাক যা চান তাই আমার জন্য মঙ্গল। তিনি ব্যতীত আমার রোজমুক্তির কোন উপায় নেই।
উপরোক্ত দোয়া পাঠের পর তিনি বললেন, এ দোয়াটি বেশী বেশী পাঠ করবে। এতে সকল রোগের শেফা নিহিত রয়েছে। এটা পাঠ করলে যাবতীয় কষ্ট দূর হয়ে হবে এবং শত্রুর উপর জয়ী হওয়া যাবে। যখন ফেরেশতাকে আল্লাহর আরশ উত্তোলন করতে হুকুম করা হল তখনই তারাই সর্বপ্রথম এ দোয়া পাঠ করেছিল। তারা কেয়ামত পর্যন্ত ঐ দোয়া পাঠ করতে থাকবে।
অতঃপর তাঁর ডান পাশের অথবা বাম পাশের ব্যক্তিটি আরজ করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যদি কেউ ঐ দোয়াটি শত্রুর সাথে মোকাবেলার সময় পাঠ করে? এরশাদ হল, তবে তাঁর জন্য বিজয় ও সাহায্যের সুসংবাদ।
বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা হল, ঐ ব্যক্তিটি হয়তো আবূ বকর? এরশাদ হল ইনি আমার চাচা হামজা (রাঃ) অতঃপর স্বীয় হস্ত মোবারক দ্বারা বাম দিকে ইশারা করে বললেন, এরা শহীদান এবং পেছনের দিকে ইশারা করে বললেন আর এরা হল ছালেহীন। একথা বলেই তিনি সকলকে নিয়ে রুম থেকে বিদায় হলেন। আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দেখালাম, আমার দেহের যাবতীয় কষ্ট দূর হয়ে গেছে। উপরোক্ত আমি আগের তুলনায় আরো সুস্থ বোধ করলাম।