সাহস !

সাহস
আপনি যখন শিশু ছিলেন তখন কি আপনি ভুতে বিশ্বাস করতেন না? রাতের বেলায় অদ্ভূত শব্দ শুনে কি ভীত হতেন না? আপনার শিশু বয়সে ভুত নিয়ে আপনার ভয়টি ছিল বাস্তব। শিশু বয়সে ভূতের ভয়ে আপনার শারীরিক পরিবর্তনও দেখা দিত। মুখ শুকিয়ে যেত, হার্টবিট বেড়ে যেত, ঘাম দেখা দিত। অথচ এই বয়সে যখন আপনি যখন শিশুবেলার ভূতের ভয় নিয়ে চিন্তা করেন তখন আপনার নিশ্চয়ই হাসি পায়। কত অবাস্তব ছিল আপনার শিশুবেলার ভয়! অথচ অবাস্তব সেই ভয় তখন আপনার কাছে সত্যিকারের ভয় হয়ে আপনার হার্টবিট বাড়িয়ে দিত, আপনার মুখ শুকিয়ে দিত, আপনার শরীরে ঘাম দেখা দিত। আপনার সেই ভূতের ভয়টি একটি ভৌতিক কাহীনি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এটা ছিল শুধুই একটি মায়া, একটি অবাস্তব কল্পনা নির্ভর বিশ্বাস যার কোনো মূল্য নেই। সেটা ছিল অবাস্তব কাহীনি নির্ভর একটি বাস্তব অনুভূতি। সেেেত্র অবাস্তব কিছু কাহীনি বিশ্বাস করার ফলে আপনার মনের মধ্যে কিছু বাস্তব ভয়ের অনুভূতি জাগ্রত হতো। তাহলে দেখুন কিছু অবাস্তব কল্পনা গভীর বিশ্বাসের সাথে যুক্ত হয়ে কিভাবে আপনার মধ্যে বাস্তব অনুভূতি প্রদান করতে পারে আর তার ফলে আপনার শারীরিক পরিবর্তনও ঘটাতে পারে। ঠিক আছে, যখন আপনি শিশু ছিলেন তখন ভূতের ভয়ে কাতর হলে কেউ আপনাকে দোষ দিত না। শিশুরা ভুতের ভয় পেলে বড়রা তাদেরকে বাহু ডোরে জড়িয়ে নেবেন তা-ও ঠিক। কিন্তু যারা যথেষ্ট বয়স্ক হওয়া সত্বেও অহেতুক কিছু অনিশ্চয়তা আর ভয়ের কারণে উদ্বেগ আর আশংকায় কাতর হয়ে তাদের সফলতার স্বপ্ন ত্যাগ করে তাদেরকে আপনি কি বলবেন? শিশুবেলায় যেমন কল্পিত ভূতের ভয়ে আপনার হাত-পা জড়িয়ে আসত তেমনি ভবিষ্যতের কোনো কাল্পনিক দূর্ঘটনা বা কল্পিত পরাজয়ের ভয়ে সফলতার পথে চলতে আপনার হাত-পা আর এগুতে চায় না। তাহলে দেখুন, ভবিষ্যত্যের কল্পিত ভয়ংকর ঘটনার চিন্তায় আপনার শরীর-মনে যেমন উদ্বেগ, আশংকা আর অস্বস্তির প্রকাশ দেখা দেয় একইভাবে ভবিষ্যতের সকল সমস্যা ডিঙিয়ে সফলতা লাভের চিন্তা ও বিশ্বাস আপনাকে কি আপনাকে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে না? ভেবে দেখুন তো, সবধরনের আজেবাজে ঘটনা ও দুনিয়ার যাবতীয় ভয়ংকর ঘটনা কল্পনা করার মতা যদি আপনার থাকে তাহলে সমস্যা ডিঙিয়ে সফলতা লাভের কল্পনা করার মতাও আপনার আছে কি-না? আপনার অবশ্যই তা আছে। তাহলে আপনার ভয় পাওয়ার কু-অভ্যাসটি বদলে নিয়ে আশাবাদী হয়ে সফলতার পথে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে চলার সু-অভ্যাসটি গড়ে নিচ্ছেন না কেন? হতাশ হওয়ার অভ্যাসটি বাদ দিয়ে আশাবাদী, আত্মবিশ্বাসী আর উদ্যমী হয়ে সফলতার ভাবনায় জেগে উঠুন। সাহস নিয়ে ভয়কে জয় করুন। বিশ্বাস করুন, কোনো ব্যাপারে আপনার যত বেশী ভয় সেই বিষয়টি জয় করতে আপনার আনন্দও তত বেশী হবে। কাজেই “ভয়”কে আর ভয় নয়। ভয় হচ্ছে আপনার সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি পরীক্ষা। যত তাড়াতাড়ি আমরা বাস্তবতার শিক্ষাটুকু মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী জীবন যাপন করব ততই স্বস্তিতে বাস করতে পারব। কোনো দূর্ঘটনা ভবিষ্যতে আবার ঘটতে পারে এই দুশ্চিন্তায় নিরাপত্তাহীন একটি অস্বস্তিকর জীবন যাপন করা কোনো সুবিবেচনার কাজ হতে পারে না। পরাজয়, উদ্বেগ, আতংক, আত্মগ্লানি আর হতাশার মত ভয়ও একটি অভ্যাস মাত্র। জীবনে আমাদের এমন সময় আসে যখন আমরা নিজের মনেই বলে উঠি, “আমি আর ভয়ে ভীত হয়ে বসে থাকতে চাইনা। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে আসুক, কন্ঠে কাঁপুনি উঠুক, পেটের নাড়ী গুলিয়ে উঠুক তবুও আমি আমার কাজে এগিয়ে যাব।” ভয় পাওয়া সত্বেও এগিয়ে যাওয়ার এই ছোট্ট সিদ্ধান্তটিই পারে আপনার পৃথিবীকে বদলে দিতে। আপনার ব্যর্থতাকে সফলতায় পরিণত করতে। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত

সফলতা !

“জান্নাতের অপরূপা সুন্দরী কুমারী রমণী”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *