সাদ্দাদের বেহেস্ত-১ম পর্ব

আদের দুই পুত্র ছিল। এক জনের নাম ছিল শাদীদ আর অন্য জনের নাম ছিল সাদ্দাদ। শাদীদ একাধারে সাত শত বছর রাজিত্ব করার পরে ইন্তেকাল করে। তারপরে সাদ্দাদ সিংহাসন লাভ করে। তার রাজ্য ছিল বিশাল। পৃথিবীর স্থল ভাগের অধিকাংশ জায়গা ছিল তার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।  ধন-দৌলত, অর্থ-সম্পদ ছিল প্রচুর।  রাজ্যের সকল মানুষ সুখে স্বচ্ছন্দে বসবাস করত। রাজা সাদ্দাদ ছিল অহংকারী। ধন-দৌলতের প্রাচুর্যে তাকে বেপরোয়া বানিয়ে ছিল। যার ফলে ধর্ম-কর্ম বলতে তার কাছে কিছুই ছিল না। বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে চলত এবং দেশের বহু স্থানে বিলাস ভবন নামে অনেক সুউচ্চ ইমারত তৈরি করেছিল। প্রমোদ কানন নামে বহু সুশোভিত পুষ্পকানন সাজিয়ে অসংখ্য দাস-দাসী দ্বারা উহার পরিচর্যা করত। তার দাস-দাসীর সংখ্যা নিরূপণ করা ছিল সাধ্যাতীত ব্যাপার। দেশরক্ষী বাহিনীর নামে অশ্বারোহী, পদাতিক ও নৌবাহিনী ছিল কয়েক লক্ষ। তার প্রহরার জন্য সর্বদা বিশ হাজার সৈন্য মোতায়েন থাকত।

হযরত হুদ (আঃ)-এর প্রতি আল্লাহ্‌ তা’য়ালার নির্দেশ হল সাদ্দাদকে দ্বীনের দাওয়াত পৌছানোর জন্য। হযরত হুদ (আঃ) আল্লাহ্‌ তা’য়ালার নির্দেশ ক্রমে সাদ্দাদের নিকট পৌঁছে বললেন, হে রাজা সাদ্দাদ! তোমাকে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এর হাজার বছর হায়াত দান করেছেন। অসংখ্যা ধন-দৌলত দান করেছেন। অগনিত দাস দাসী তুমি লাভ করেছ। সর্বোপরি তোমাকে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা অশেষ সুখ-শান্তি দান করেছেন। ইতোপূর্বে আর কোন রাজা বাদশাহকে দান করেন নি। এখন সে মহান আল্লাহ্‌ তা’য়ালার শোকর আদায়ের নিমিত্ত তাঁর একত্ববাদে আস্থা স্থাপন করে ইমানদারদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। তাহলে আল্লাহ্‌ তোমাকে আরো সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন। তোমার সুখ-শান্তি অধিক করে দিবেন। এমন কি কিয়ামতের দিন তোমার কোন হিসাব নিকাশ নেয়া হবে না। সরাসরি তুমি বেহেস্ত লাভ করতে পারবে। যা সাধারন ভাবে কারো ভাগ্যে মিলবে না। একমাত্র  তোমার জন্যই আমি এ সুসংবাদ দিতে এসেছি এবং আমি তোমার জিম্মাদার হিসেবে কিয়ামতের দিন সর্বক্ষণ তোমার কাছে থাকব। অতএব তুমি মুক্ত মনে একবার পাঠ কর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

সাদ্দাদের বেহেস্ত-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।