মূসা (আঃ)-এর জন্ম –তৃতীয় পর্ব
মূসা (আঃ) এর জন্ম – দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তৎক্ষণাৎ ফেরাউন বর্তমান কর্তব্য স্থির করে সর্বত্র ঘোষণা করে দিল যে, এখন হতে এক বছরের মধ্যে বনী ইসরাইল বংশে যেখানে যত পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, তাদের সবাইকে হত্যা করে ফেলতে হবে।
এ ঘোষণা ও নির্দেশ অনুসারে তার সেনাবাহিনীর লোকেরা বনী ইসরাইল বংশের নব প্রসূত যাবতীয় পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করতে লাগল। কিন্তু মহান আল্লাহ্ পাকের কি অপূর্ব মহিমা!
এ ব্যাপক ও সামগ্রিক শিশু হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও আল্লাহর প্রিয়নবী, ফেরাঊনের প্রধান দুশমন হজরত মূসা (আঃ)-কে আল্লাহ্ জীবিত রাখলেন। নিজের মাঝে অনাগত সন্তানের আগমন সংকেত অনুভব করে হজরত মূসা (আঃ)-এর মা মনে মনে খুবই শংকিত হয়ে পড়েন।
তিনি ভাবলেন, পুরুষ সন্তান হলে তো ফেরাউনের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হবে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই তিনি শংকিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আল্লাহ্ তায়ালা ওহী প্রেরণ করে তাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন। হে মূসার মা! তুমি সঙ্কিত হয়ো না। আমি তার হিফাজত করব।
অল্প কিছু দিন তোমার কোল থেকে দূরে রেখে পুনরায় তোমার কোলেই ফিরিয়ে দেব, অতপর তাকে রিসালাতের মর্যাদার অধিষ্ঠিত করব। অবশেষে একদিন প্রতীক্ষার অবসান ঘনিয়ে বনী ইসরাইলের সে প্রতিশ্রুত শিশু এ ধরাধামে আগমন করেন, যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রিয় নবী হজরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর সাথে করেছিলেন।
বনী ইসরাঈলের নবজাত এ শিশু পুত্রই ভাবী কালের রাসূল, ফেরাঊনের ও কিবতীদের ধ্বংসের কারণ হজরত মূসা (আ)।
কথিত আছে, তার জন্ম গ্রহণকালে তার মা উনুনে রুটি তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ অবস্থায়ই তিনি প্রসব বেদনা অনুভব করে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় গৃহ আলোকোজ্জল করে হজরত মূসা (আ) জন্ম গ্রহণ করেন।