মুসলমানগণকে সাদরে গ্রহণ খৃষ্টান রাজা নাজ্জাশীর-১ম পর্ব
মুসলমানগণ হাবশায় তথা আবিসিনিয়ায় শান্তিতে জীবন যাপন করতে লাগলেন। মক্কার কাফেরগণ এ কথা শুনে হিংসার অনলে জ্বলে পুড়ে মরতে লাগল। তারা সেখান হতে মুসলমানগণকে বের করার চেষ্টা করতে লাগল। তারা আবদুল্লাহ বিন রাবেয়া ও আমর বিন আসকে বহু হাদীয়া তোহফা দিয়ে নাজ্জাশীর দরবারে প্রেরণ করল। তারা নাজ্জাশীর দরবারে যেয়ে বলল, আমাদের দেশের কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক জঘন্য ধরণের অপরাধ করে আপনার নিকট আশ্রয় নিয়েছে। দেশ হতে পলায়ন করে এসেছে। তারা আমাদের বাপ দাদার ধর্ম ত্যাগ করেছে। আপনাদের ধর্মও অবলম্বন করে নি। নতুন এক অভিনব ধর্মের প্রচার করছে। অতএব তাদেরকে আমাদের হাতে ন্যস্ত করার জন্য আপনার খেদমতে উপস্থিত হয়েছি। এদিকে কাফেরগণ চেষ্টা চালিয়েছে যেন মুসলমানগণ বাদশাহের নিকট কোন কথা বলার সুযোগ না পায়। বাদশাহ বললেন, আমি তাদের মক্তব্য না শুনে তাদেরকে তোমাদের হাতে সোপর্দ করতে পারব না। তারা আমার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তোমাদের অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ফেরত দিব।
বাদশাহ মুসলমানগণকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন ধর্মের প্রচার করতেছ? মুসলমানদের পক্ষ হতে হযরত জাফর বিন আবু তালেব বললেন, হে বাদশাহ নামদার! আমরা অন্ধযুগের মূর্খ জাতি ছিলাম। মূর্তি পূজা আমাদের ধর্ম, জুলুম অত্যাচার আমাদের কর্ম, চুরি ডাকাতি আমাদের পেশা, জ্বেনা-ব্যভিচার ও মদপান আমাদের ছিল নেশা।
আল্লাহ আমাদের প্রতি একজন রাসূল প্রেরণ করেন। তিনি জীবনের প্রথম হতে সত্য, ন্যায়পরায়নতা ও সরলতার মধ্যে সকলের নিকট ছিলেন প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত। তিনি আমাদেরকে এক আল্লাহর দিকে আহবান করেছেন। পাথর পূজা, মূর্তি পূজা অর্থাৎ গায়রুল্লাহর পূজা হতে বাঁধা প্রদান করেন। সত্য ও ন্যায়ের নির্দেশ দেন। হযরত জাফর ইসলামের নীতিমালা পেশ করে সূরায়ে মারইয়ামের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করেন। বাদশাহ হযরত মারইয়াম ও ঈসা (আঃ)। সম্বদ্ধে কুরআনের সত্য বানী শ্রবণ করে শিহরিয়া উঠলেন। তাঁর অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে লাগল। তিনি বললেন, এ কালাম এবং ইঞ্জিল একই চেরাগের রৌশনী।
মুসলমানগণকে সাদরে গ্রহণ খৃষ্টান রাজা নাজ্জাশীর-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন