মাতৃগর্ভে মহানবী (সাঃ)
হযরত আমেনার গর্ভে যখন মহামানব সৃষ্টির স্তর পার হচ্ছেন তখন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নূর আবদুল্লাহর পৃষ্টদেশ হতে মাতা আমেনার গর্ভে স্থান পেল। তখন এক রাত্রে আমেনা স্বপ্নে দেখেন, তাকে সুসংবাদ দেয়া হচ্ছে, তুমি শ্রেষ্ঠ মানব, কুল মাখলুকাতের সর্দারকে গর্ভে ধারণ করেছ। আসমান জমিনের অধিবাসী কর্তৃক তিনি প্রশংসিত। গর্ভাবস্থায় হযরত আমেনা একটি নূর দেখেন যার আলোতে তিনি বসরা ও সিরিয়ার রাজ প্রাসাদ দেখতে পান।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, হযরত আমেনা বলেন, আমি গর্ভাবস্থায় অন্যান্য গর্ভবতী রমণীর ন্যায় কোন প্রকার কষ্ট অনুভব করিনি এবং বাহ্যিকভাবে গর্ভের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি। যখন গর্ভের ছয় মাস অতিবাহিত হল তখন আবদুল মুত্তালিব তার পুত্র আবদুল্লাহকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া প্রেরণ করেন। এ সফরে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পিতা আবদুল্লাহ মদিনা তৈয়্যবায় ইন্তিকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মাতা আমেনা অনেক অলৌকিক ঘটনা দেখতে পান। তিনি কোন কুয়া হতে পানি উঠাতে গেলে পানি কুয়ার মুখে এসে যেত। রোদ্রে ভ্রমণ করতে লাগলে নূরানী আরব তাঁকে ছায়া প্রদান করত। ভুমিষ্ঠ হবার সময় নিকটবর্তী হলে হযরত আমেনা আর একটি নূর দেখতে পান। ঐ সময় সারা আরব দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে শিকার হয়ে দেশে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছিল। মহানবীর বরকতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে শীতল হয়ে উঠল। তাদের দৈন্য দূর হল।