মসজিদের রহস্য

“আমার মামার যখন ১৫/১৬ বছর বয়স তখন তিনি এক হুজুরের বাড়িতে থাকতেন । হুজুরের মসজিদে আজান দিতেন, আর হুজুরের কাছেই লেখাপড়া করতেন । ওই হুজুর গত ৪ বছর আগে মারা গেছেন ।

আমাদের এখানে উনি অনেক কামেল হুজুর ছিলেন । আমার মামা যখন উনার কাছে থাকতেন তখন উনি মামাকে মানা করে দিয়েছিলেন উনাকে না বলে মাগরিবের আজানের পরে মামা যাতে মসজিদের ভেতরে না ঢুকেন । কিন্তু মামার তখন বয়স কম, কৌতূহল অনেক বেশি ছিল । একদিন মামা মাগরিবের আজানের পরে একটা হারিকেন হাতে নিয়ে মসজিদের ভেতরে যায়, মামা দেখে হুজুর নামাজ পড়াচ্ছেন, আর উনার পিছনে অনেক জন লম্বা লম্বা মানুষ নামাজ পড়ছে । এত লম্বা সাদা পাঞ্জাবী পরা লোকগুলা দেখে মামা ভয়ে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে । পরে হুজুর এসে তাকে ঘরে নিয়ে যায় আর বলেন তোমাকে না আমি আমার কাছে না বলে যেতে মানা করেছিলাম, গেলা কেন ? মামা পরে তার ভুল স্বীকার করে মাফ চায়, কিন্তু এখনও মাঝে মাঝে মামা রাতে চিৎকার করে, “দোহাই আল্লাহ্‌র, দোহাই হুজুরের আমাকে কিছু বলবা না” কিন্তু আমরা কিছুই দেখি না । মামা নিয়মিত তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে, কিছু দেখেছে হয়ত অনেক ভয় পেত । একদিন নানিও মামার সাথে উঠেছে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে ।

মামা নামাজ পড়ছে, অন্য রুমে নানি যখনই নামাজে সালাম ফিরাবে তখনই সাদা কাপড় পরা কাউকে তার পাশে দেখতে পায়, এর পর থেকে নানি আর তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে না । কিন্তু মামা এখন আর ভয় পায় না, আমাদের সাথেও এখন আর এগুলা শেয়ার করে না । আমি জানি প্যারানরমাল অনেক কিছু তার সাথে হয়, কিন্তু আমরা জানতে চাইলে বলেন এগুলা শেয়ার করতে হয় না ।

সত্যবাদিতা

রক্তখেকো মানুষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *