বেনামাযী ফ্যাশনপ্রিয় এক নারীর উপর কবরে শাস্তির চোখে দেখা ঘটনা
আমার এক বন্ধু আমাকে একটি বিস্ময়কর ঘটনা শুনিয়েছেন। বন্ধু বলল, ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় আমি কুয়েতে ছিলাম। মুর্দাদের কাফন দাফনের দায়িত্বে আমি নিয়োজিত ছিলাম। যুদ্ধের সময়েই আমি মিসরে গেলাম। সেখানে এক পরিবারের লোকেরা একজন নারীর কাফন দাফনের বিষয়ে আমার সহায়তা চাইলো। আমি কবর স্থানে গেলাম মুর্দাদের গোছল দেয়ার জায়গায় বসলাম। গোছল দিয়ে কাফন পরানোর জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি ৪জন পর্দানসীনা নারী গোছলের জায়গা থেকে বের হয়ে গেল।
তাঁদের ভীত মনে হচ্ছিল কিন্তু আমি কিছু জিজ্ঞেস করা সমীচীন মনে করিনি। এরপর মুর্দাদের গোছল দেয়ার কাজে নিয়োজিত একজন নারী বের হয়ে গোছল দেয়ার কাজে আমার সাহায্য চাইলো। আমি বললাম, নারীদের গোছল দেয়ার কাজ পুরুষের জন্য জায়েজ নয়। মহিলা বলল, মুর্দার দেহ এতো ভারি হয়ে গেছে যে নড়ানো যাচ্ছে না।
মহিলা বলল, এরাকম ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। আমার জবাব শুনে মহিলা ভেতরে চলে গেল এবং যেন তেনভাবে গোছল এবং কাফন পরানোর কাজ শেষ করলো। তারপর লাশ খাটিয়ায় তুলে জানাযার জন্য নিতে হবে। লাশ উঠাতে আমাদের ১১ জনের শক্তি লেগেছিল। মিসরে কবর দেয়া হয় কামরার মতো কবরে। সেই কবরে সিড়ি দিয়ে নামতে হয়। মুর্দার গায়ের ওপর মাটি দেয়া হয় না । লাশ কবরে রেখে কবর ঢেকে দেয়া হয়।
যা হোক জানাযায় পর কবরস্থানে আমারা ১১জন খাটিয়া বহন করে নিয়ে গেলাম। খাটিয়া কাঁধ থেকে কবরের পাশে রাখার সাথে সাথে লাশ পিছলে আপনা আপনি কবরে চলে গেল। এ দৃশ্য দেখে আমারা ভীষণ ভয় পেলাম। আমি কবরে নেমে মুর্দার মুখ কেবলামুখী করে দিলাম।
মুর্দার চেহারা থেকে আপনা আপনি কাফন সরে যাচ্ছিল আর মুর্দার হাড় ভাঙ্গার মটমট শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। মুর্দার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখি তার চোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। মহিলার চেহারা ভীষণ কালো হয়ে আসছে। মহিলার চেহারা কাল হয়ে গেলো। আমরা দ্রুত কবর থেকে বেরিয়ে কবরের ঢাকনা বন্ধ করে দিলাম।
মহিলার নিকটাআত্মীয়ের মধ্যে তার এক মেয়েকে পেলাম। মেয়ের কাছে মায়ের চালচলন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। মেয়ে প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি। পরে বলল, আপনি কাউকে বলতে পারবেন না শুনুন, আমার মা ছিল নামের মুসলমান, মাকে গোছল দেয়ার জন্য আমরা ৫ জন মহিলা গিয়েছিলাম। মায়ের চেহারা কালো হতে দেখে ভয়ে আমরা ৪ জন বের হয়ে এসেছিলাম।
আমার মা জীবনে কখনো নামায পড়েনি তাছাড়া সে ছিল অত্যন্ত ফ্যাশনসচেতন মহিলা। তার মধ্যে লজ্জাশরম কিছুই ছিল না। এ কারণেই মৃত্যুর পরেই তার ওপর কঠোর আযাব শুরু হয়ে গেছে। কবরের জীবনের অবস্থা দুনিয়ার মানুষকে দেখানো আল্লাহর হেকমতে পরিপন্থী। তবু বান্দাদের শিক্ষার জন্য সামান্য কিছু কখনো কখনো আল্লাহ দেখিয়ে থাকেন।