বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিমের কথা-১ম পর্ব

বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিম ছিলেন একজন হাবসী বংশীয় নিগ্রো। তিনি প্রথম জীবনে একজন আরবীয় দাস ছিলেন। আরবীয় আরো কয়েকজন দাস ছিল। একদিন এ আরবীর কিছু খাবার জিনিস চুরি হয়ে গেল। তখন তিনি লোকমান হাকিম সহ আরও কয়েক জনের সন্দেহ করলেন। লোকমান হাকিম তখন তাঁর মালিক এর কাছে গিয়ে বলে প্রভু! আপনি আমাদের সকল কে গরম পানি পান করতে দিন। তাতে সকলের বমি হবে।  তখন সঠিক ভাবে ধরা যাবে কে চোর। মালিক লোকমান হাকিমের কথা অনুসারে সকল কে গরম পানি পান করতে দিলেন। অল্পক্ষণের মধ্যে সকলের বমি হল। তখন দেখা গেল যে চুরি করে খেয়েছে, বমির সাথে সে খাদ্য বের হয়ে আসছে। তখন মালিক লোকমান কে ধন্যবাদ দিলেন এবং দায়িত্ব থেকে চিরদিনের জন্য মুক্ত করে দিলেন। আর চোর কে শাস্তি দিলেন।

হযরত দাউদ (আঃ) এর জামানায় লোকমান হাকিমের প্রসার ঘটে। হযরত দাউদ (আঃ) নবুয়তী লাভের তিন বছর পরে লোকমান হাকিমের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। লোকমান হাকিমের দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার পরে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে অসাধারণ জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দান করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি একজন বৈজ্ঞানিক, একজন সাধারণ ডাক্তার ও ন্যায়পরায়ণ বিচারক হিসাবে পৃথিবী ব্যাপি সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

হযরত দাউদ (আঃ) নবুয়তী ও বাদশাহী লাভ করার পর তিনি বিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য লাভ করেন। যার মাধ্যমে তিনি আগুন ছাড়াই লোহা দিয়ে যা ইচ্ছা তা অনায়াসে তৈরি করতে পারতেন। তাঁর হাতে লোহা গলে মোমের ন্যায় হয়ে যেত। লোকমান হাকিম এ বিষয় হযরত দাউদ (আঃ) কে কখনও কিছু জিঙ্গেস করেন নি।  যেহেতু তিনি ছিলেন একজন বৈজ্ঞানিক। গাছ গাছড়া ও লতাপাতা গুনাগুন বিষয় আল্লাহ তায়ালা তাকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছিলে। তিনি মানুষের রোগের ক্ষেত্রে লতা পাতা ও গাছ গাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করতেন। তাঁর দৃষ্টিতে আল্লাহ তায়ালা কোন গাছ কল্যান ছাড়া সৃষ্টি করেন নি। 

বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিমের কথা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিমের কথা-১ম পর্ব

বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিম ছিলেন একজন হাবসী বংশীয় নিগ্রো। তিনি প্রথম জীবনে একজন আরবীয় দাস ছিলেন। আরবীয় আরো কয়েকজন দাস ছিল। একদিন এ আরবীর কিছু খাবার জিনিস চুরি হয়ে গেল। তখন তিনি লোকমান হাকিম সহ আরও কয়েক জনের সন্দেহ করলেন। লোকমান হাকিম তখন তাঁর মালিক এর কাছে গিয়ে বলে প্রভু! আপনি আমাদের সকল কে গরম পানি পান করতে দিন। তাতে সকলের বমি হবে।  তখন সঠিক ভাবে ধরা যাবে কে চোর। মালিক লোকমান হাকিমের কথা অনুসারে সকল কে গরম পানি পান করতে দিলেন। অল্পক্ষণের মধ্যে সকলের বমি হল। তখন দেখা গেল যে চুরি করে খেয়েছে, বমির সাথে সে খাদ্য বের হয়ে আসছে। তখন মালিক লোকমান কে ধন্যবাদ দিলেন এবং দায়িত্ব থেকে চিরদিনের জন্য মুক্ত করে দিলেন। আর চোর কে শাস্তি দিলেন।

হযরত দাউদ (আঃ) এর জামানায় লোকমান হাকিমের প্রসার ঘটে। হযরত দাউদ (আঃ) নবুয়তী লাভের তিন বছর পরে লোকমান হাকিমের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। লোকমান হাকিমের দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার পরে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে অসাধারণ জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দান করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি একজন বৈজ্ঞানিক, একজন সাধারণ ডাক্তার ও ন্যায়পরায়ণ বিচারক হিসাবে পৃথিবী ব্যাপি সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

হযরত দাউদ (আঃ) নবুয়তী ও বাদশাহী লাভ করার পর তিনি বিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য লাভ করেন। যার মাধ্যমে তিনি আগুন ছাড়াই লোহা দিয়ে যা ইচ্ছা তা অনায়াসে তৈরি করতে পারতেন। তাঁর হাতে লোহা গলে মোমের ন্যায় হয়ে যেত। লোকমান হাকিম এ বিষয় হযরত দাউদ (আঃ) কে কখনও কিছু জিঙ্গেস করেন নি।  যেহেতু তিনি ছিলেন একজন বৈজ্ঞানিক। গাছ গাছড়া ও লতাপাতা গুনাগুন বিষয় আল্লাহ তায়ালা তাকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছিলে। তিনি মানুষের রোগের ক্ষেত্রে লতা পাতা ও গাছ গাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করতেন। তাঁর দৃষ্টিতে আল্লাহ তায়ালা কোন গাছ কল্যান ছাড়া সৃষ্টি করেন নি। 

বিশ্ববিখ্যাত লোকমান হাকিমের কথা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…