বাহরাইনের বিদ্রোহ দমন
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে বাহরাইন থেকে এক দল লোক এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) চিন্তা করলেন যে সেখানে একজন গভার্নর নিয়োগ করা প্রয়োজন । তাই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত অনুসারে সেখানে মনজর বিন সাওয়াকে গভার্নর মনোনীত করলেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইন্তেকাল করার পর পরই মনজর বিন সাওয়াও ইন্তেকাল করলেন । তারপরে বাহরাইনবাসী মুরতাজ হয়ে যায় । বনু বকর মুরতাদই থেকে যায় । আবদুল কায়েস নিজেদের সরদার জারুল বিন মুআল্লাহর মাধ্যেমে আ ফিতনা থেকে বেঁচে যান । তখন হযরত জারুল বিন (রাঃ) নিজেদের কওমকে এক সাথে করে প্রশ্ন করলেন যে, হে আবদুল কায়স ! তোমরা ইসলাম গ্রহন করার পর আবার পরে কেন কাফির হলে ? মুলত তারা ভুলের বশবর্তী হওয়াতে তাদের এ অবস্থা হয়েছিল । তিনি যুক্তিপূর্ণ ভাষণের মাধ্যমে বললেন যে, ভাইয়েরা ! আমি সত্য হৃদয়ে স্বীকার করছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত রাসুল ।
হযরত আলা বিন হাযরামী (রাঃ) তাদের সৈন্য বাহিনী নিয়ে হযরত জারুদ (রাঃ)-এর সহযোগিতায় যান । হাতেমও তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে গেলে সেখানে দু পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায় । মুসলমান এবং মুরতাদ সবাই নিজ নিজ অঞ্চলে পরিখা খনন করে । দু পক্ষের কিছু সৈন্য যুদ্ধের জন্য সকালে বের হয়ে আপরাহ্নে যার যার ছাউনিতে আগমন করে । একদিন সন্ধায় মুসলমানগণ শত্রু পক্ষের সৈন্যদের হৈ চৈ-এর আওয়াজ শুনতে পান । খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে, তারা মদের নেশায় পাগল হয়ে আনন্দ করছে । এ সুযোগে মুসলমানগণ আক্রমন করেলে তাতে বহু ব্যক্তি নিহত হয়, বাকীদের বন্দী করা হল । স্বয়ং সৈন্যের নায়ক হাতেমসহ নিহত হল । তখন মুসলমানগণ সাগর পাড়ি দিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের হত্যা করলেন । এরপর আম্মানের কিছু কিছু গোত্র এবং কিন্দা গোত্রের লোকেরা মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল । হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর পাঠানো সেনাপ্রধানগণের সঙ্গে তাদের মকাবেলা হয় এবং সব জায়গায়ই মুসলমানদের বিজয় হয় ।