বাবা আলি

আলি আরদেকানি (ফারসি: علی اردکانی; জন্ম ১১ অক্টোবর, ১৯৭৪):

তিনি তাঁর স্টেজ নাম বাবা আলি (ফারসি: بابا علی) দ্বারা সর্বাধিক পরিচিত, একজন ইরানি-আমেরিকান কমেডিয়ান, গেমস ডেভেলপার, ব্যবসায়ী এবং অভিনেতা।যদিও তিনি আরদেকান থেকে একটি পার্সিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, আরদেকানি লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি ধর্মনিরপেক্ষ অধর্মী পরিবারে বড় হয়েছেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি উইকা সহ বিভিন্ন ধর্ম অধ্যয়ন করতে শুরু করেন। ২০ বছর বয়সে ইসলামিক ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।তিনি একটি ধনী পরিবারের সদস্য ছিলেন, যারা ইসলাম গ্রহণের জন্য তাঁর গ্রহণযোগ্যতা মেনে নেয়নি এবং এর ফলে তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়।

 

ইসলাম গ্রহণ এবং তার পরবর্তী সময়:

বাবা আলি ২০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন যখন তিনি একটি ইসলামিক ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এই ক্যাম্পে তিনি ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন এবং সেখানে আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মের মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে অনুসন্ধান করার পর, তিনি ইসলামের নীতি ও জীবনদর্শনকে নিজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করেন। ক্যাম্পের অভিজ্ঞতার পর তিনি ইশহাদ (আল-শহাদাহ) উচ্চারণ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তবে, তাঁর পরিবার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি এবং এর ফলে তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর পরিবার মনে করেছিল যে, এই ধর্ম পরিবর্তন তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। এই অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, যা তাঁর পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের দিকনির্দেশনা বদলে দেয়।

বাবা আলি ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন অর্থ খুঁজে পান। ইসলাম গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনেন এবং কোরআন ও হাদিসের নীতি অনুসরণ করতে শুরু করেন। তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে শিল্প ও কমেডি জগতের কাজকে মিলিয়ে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেন। ইসলামের শিক্ষা ও নীতির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং তা প্রচারের ইচ্ছা তাঁকে একটি ধর্মপ্রাণ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর স্টেজ শো এবং কমেডি পারফরম্যান্সে তিনি ইসলামের সুন্দর দিকগুলো তুলে ধরতে থাকেন, যা তাঁর শ্রোতাদের ইসলাম সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। ইসলাম গ্রহণের ফলে তাঁর পরিবার তাঁকে বঞ্চিত করলেও তিনি নতুন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নিজের স্থান খুঁজে নেন এবং ইসলামের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার ও বিশ্বাসকে ধরে রাখেন। বাবা আলি তার কর্মের মাধ্যমে ইসলামের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে অবদান রাখেন। ইসলামের প্রতি তার এই গভীর সম্পর্ক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়, যা তাকে মুসলিম সম্প্রদায়ে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।