তুরস্কের নৌবাহিনীর ঘাঁটি অভিযাত্রীসহ গভীর সমুদ্রে তলিয়ে গেল
২০০৬ সালে বিশ্বব্যাপী আলোচিত একটা ঘটনা ঘটেছিল তুরস্কে। সমুদ্র তীরে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এক প্রমোদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নৌবাহিনীর কো নাবিক, অফিসার এবং ৩০ জন আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল তিন হাজার। ইসরাইল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় একদল সুন্দরী গায়িকা এবং নর্তকীকে আনা হয়েছিল। মদ, কাবাব, এবং নানা রকম খাদ্য পানীয়ের ব্যবস্থা ছিল এ প্রমোদ অনুষ্ঠানে।
হঠাৎ একজন তুর্কী জেনারেলের কি মনে হলো সে একজন ক্যপটেনকে বলল, তুমি যাও এক কপি কোরআন নিয়ে আসো। কোরআন নিয়ে আসার পর ক্যাপ্টেনকে বলা হলো, কিছু অংশ পাঠ করো। ক্যপ্টেন কিছু অংশ পাঠ করার পর জেনারেল বলল, পঠিত অংশের অর্থ বলো। ক্যাপ্টেন বলল, আমি তো অর্থ জানি না। এ কোরআনে বলা হয়েছে আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর হেফাযত করব। তারপর জেনারেল চিৎকার করে বলল, কোরআনের সে হেফাযতকারী এখন কোথায়? একথা বলে, জেনারেল কোরআনের পাতাগুলো ছিঁড়ে নর্তকী এবং গায়িকাদের পায়ের দিকে ছুঁড়ে দিল। ক্যপ্টেন ভয়ে চিৎকার দিয়ে দৌঁড়ে অনুষ্ঠান স্থলের বাইরে দূরে চলে গেলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এখনই এদের ওপর মহান আল্লাহর গজব নেমে আসবে।
ক্যাপ্টেনের ধারণা সত্য হলো। হঠাৎ সমুদ্র থেকে এক বিরাট অগ্নি শিখা এসে কয়েক মেইল ব্যাপী দীর্ঘ এলাকার নৌঘাঁটির যাবতীয় স্থাপনাসহ ঘিরে ফেলল এবং মুহূর্তের মধ্যে ভূমিকম্পের সম্মুখীন হলো। অতঃপর সবকিছু মাটি থেকে উৎপাটিত হয়ে সমুদ্রের মাঝখানে নিক্ষিপ্ত হলো। আগুনের শিখা সবকিছু গ্রাস করে নিয়েছিল। ৩ হাজার মানুষ তাদের কর্মস্থলের যাবতীয় স্থাপনাসহ গভীর সমুদ্রে ডুবে গেল। তাদের কারোরই লাশও খুঁজে পাওয়া যায় নি। ভূমিকম্প এসে সবাইকে আগুনের লাভার মধ্যে সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে গিয়েছিল। মহান আল্লাহ কোরআন আবমাননাকারীদের এভাবে শাস্তি দিয়েছেন।