তবে মানুষের দেহের এত অহংকার কেন ??

আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে। আমাদের মহল্লায় জনি নামের একটি ছেলে ছিল। গায়ের রং কালো হলেও ছেলেটার ফেইস দেখতে গোলগাল এক কথায় ভাল লাগার মত। জনি তমা নামের একটি মেয়েকে খুব ভালবাসত। তমা কলেজে পড়ে ধনী ঘরের একমাএ দুলালী। জনি তমাকে প্রপোজ করে, তমা জনিকে মারাত্বক ভাবে অপমান করে। তমা আমার ক্লাসমেট ছিল যার ফলে গটনাটি অধিকাংশ আমার জানা আছে। সে দিন কলেজে নবীণ বরণ অনুষ্টান ছিল। জনি তমাকে রাস্তায় পুনরায় তার ভালবাসার অনুভূতি জানায়। তমা জনিকে একেবারেই শয্য করতে পারতো না। এর কারণ একটা হতে পারে, তমার হয়ত অন্য কোন ছেলের সাথে রিলেশন ছিল।

তা ছাড়া জনি দেখতে কালো তেমন শিক্ষিত না এবং ফেমিলির অবস্হা ভাল ছিল না কিন্তু জনির ভালবাসা ছিল তমার প্রতি একদম পিউর। সে দিন কলেজের গেইটের পাশে জনিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। জনি নামের ছেলেটি রাতে তমার বাসায় আসে এবং তমার ফেমিলি তাকে হয়ত অপমানসহ মারপিট করে। ফাইনালি জনি বুঝতে পারে যে তমা আর কখনো তার জীবন সঙ্গী হবে না। জানি না বিধাতা কেন মানুষের মাঝে ধনী গরীব এর প্রাচীর করেছেন। পরের দিনের গটনা। সকাল ১১ টা জনির ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরেও কোন সাড়া না পেয়ে মহল্লার লোকজন দরজা বেংগে ফেলে।

এবং জনির ফাঁসিতে জুলে থাকা মূত লাশ আবিস্কার করে। এই পূথিবীর ভালবাসার মায়া ছেড়ে জনি চলে গেছে পড়পারে। যেখানে হয়ত চেহারা বা সম্পদ এর পাথ্যক্য নেই। ফুলের সৌরভ আর মানুষের যৌবন চিরদিন থাকে না!! এই পূথিবীর সকল মানুষের কাছে আমার একটি প্রশ্নঃ একটি মানুষ যদি তিন দিন গোসল না করে, তখন মানুষের দেহ থেকে হয়ত র্দুগন্ধ বের হয়। তবে মানুষের দেহের এত অহংকার কেন???

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

সহমর্মিতা

মমতা আর কমল। একই স্কুলে পড়ে। মমতা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে আর কমল পড়ে প্রথম শ্রেণিতে।…

বুল ডগের ছানা !

লজ্জা – ঘৃণা – ভয় এই তিন থাকতে নয় ।। আব্বুর এই কথাগুলো শুনে মনে…

প্রকৃত বন্ধু–সৈয়দ হোসেন মাহমুদ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে। হঠাৎ এক পশলা গুলি ছুটে এল শত্রুপক্ষের দিক থেকে। এক সৈন্য কোন…