জ্যান্ত ভূতের গল্প!!

আমাদের গ্রামের গেদা চাচা একদিন কাজের খোঁজে শহরে গেলেন। ঘুরতে ঘুরতে তার সন্ধা হয়ে গেলো এক রেল স্টেশনের কাছে। দোকান থেকে সামান্য চিড়াগুড় খেয়ে তিনি থাকার সন্ধান করতে করতে আবার চলে আসলেন রেল রাস্তার পাশে। সারাদিন হেঁটে পরিশ্রম করে শরীরটা বড়ই পরিশ্রান্ত। তখন তার চোখে এসে ভর করছে রাজ্যের একরাশ ঘুম। কিন্তু কোথায় ঘুমাবেন তা চিন্তা করতে করতে তিনি দেখতে পেলেন রেল স্টেশনের সামান্য দূরে চারজন মানুষ চাদর গায়ে শুয়ে আছেন। বেশি কিছু না ভেবে গেদা চাচা ও ওই চারজনের মাঝে একটু ফাঁক পেয়ে সেখানেই শুয়ে পড়লেন।
একটি বিড়ি ধরিয়ে ভাবছেন বাড়ির কথা। স্ত্রী সন্তানদের কথা। তখন ছিলো প্রচুর মশা, তাই তাকে মশায় কাঁমড়াচ্ছে। তিনি হাত দিয়ে মশা তাড়াচ্ছেন আর অবাক হয়ে দেখছেন তার দুই পাশের কাউকেই মশায় কাঁমড়াচ্ছে না! আবার তাদের কারোর-ই কোন সাড়া-শব্দ ও নেই। তারা কেউই এক চুল পরিমান ও নড়াচড়া করছেন না। ইতিমধ্যেই গেদা চাচা চাঁদের আলোয় দেখতে পেলেন দুই পুলিশ অফিসার কথা বলতে বলতে তাদের দিকেই এগিয়ে আসছেন। প্রায় কাছে এসেই এক পুলিশ অফিসার থমকে দাঁড়ালেন এবং তিনি বলতে লাগলেন, আরে… লাশ রেখে গেলাম চারটা আর এখন দেখি পাঁচটা! ব্যাপার কী? অপর পুলিশ অফিসার ও চমকে গিয়ে বললেন, তাইতো! পাঁচ নাম্বারটা তাহলে ভূত নাকি? এদিকে পুলিশের কথা-বার্তা শুনে গেদা চাচার অবস্থা খারাপ। তার মনে পড়লো তিনি আজ কোথায় যেন শুনেছেন রেল দূর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছে।
তারমানে তিনি এখন শুয়ে আছেন সেই মরা মানুষদের মাঝে! হঠাৎ তিনি চিৎকার করে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। এদিকে পুলিশেরা তাকে ভূত মনে করে স্টেশনের দিকে ঝেড়ে দিলেন এক দৌড়! নিরাপদ আশ্রয়ের ভয়ে গেদা চাচা ও পুলিশদের পেছন পেছন দৌড়াচ্ছেন। আর ওদিকে পুলিশেরা চাচাকে ভূত মনে করেই প্রাণের ভয়ে আরো জোরে জোরে দৌড়াতে লাগলেন!! (লেখা : সংগ্রহীত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *