জ্বিন ছাড়ানোর আরও এক বিস্ময়কর ঘটনা

বর্ণনায় ইমাম ইবনুল জ্বাওযী (রহঃ) এক তালিবে ইলম (মাদ্রাসা-ছাত্র) সফর করছিল। রাস্তায় একটি লোক তার সহযাত্রী হল। যেতে যেতে লোকটি তার গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে তালিবে ইলমকে বলল, তোমার উপর আমার একটা হক আছে। আমি জ্বিন। তোমাকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে।

জ্বিন বলল, তুমি অমুকজনের বাড়ীতে গেলে অনেক মুরগীর মধ্যে একটা মোরগও দেখতে পাবে। তোমার কাজ হল, মোরগের মালিকের সাথে কথা বলে তালিবে ইলম তখন বলল, আচ্ছা ভাই, তোমাকেও আমার একটা উপকার করতে হবে।

জ্বিন বলল, কী? তালিবে ইলম শয়তান যখন কোনও মানুষকে ধরে এবং ছাড়তে না চায়, ঝাড়ফুঁক প্রভৃতি কোনও কাজে আসে না এবং পেরেশান করে দেয়, তখন তার চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে?

জ্বিন বলল, ছোট লেজযুক্ত শিংওয়ালা হরিণের চামড়া ছাড়িয়ে ধরা মানুষের দুই হাতের দুটি আঙ্গুল শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। তারপর স্থল-সুদাব (سداب بري) এর তেল বের করে তার নাকের ডানছিদ্রে চারবার ও বামছিদ্রে তিনবার দিলে সেই জ্বিন মরে যাবে। এবং অন্য কোনও জ্বিনও তার কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

তালিবে ইলম নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছে নির্দিষ্ট বাড়িতে গেল। তো জানতে পারল যে, সেই বাড়িতে একটি মোরগ আছে। বাড়ীওয়ালা তার মোরগ বেচতে রাজি হল না। শেষকালে কয়েকগুণ বেশী দাম দিয়ে তালিবে ইলম মোরগটা কিনে নিল। এমন সময় সেই জ্বিন দূর থেকে তালিবে ইলমকে নিজের আকৃতি দেখাল। এবং ইশারায় মোগরটাকে যবেহ করে দিতে বলল। (তালিবে ইলম সেটা যবেহ করে দিল) অমনি সেই বাড়ি থেকে পুরুষ ও মহিলারা বের হয়ে এসে তালিবে ইলমকে মারতে উদ্যত হল। এবং বলল, তুমি জাদুকর।

তালিবে ইলম বলল, আমি জাদুকর নই। তারা বলল, যেই তুমি মোরগটা যবেহ করেছ, অমনি আমাদের মেয়ের উপর জ্বিন এসে হামলা করেছে।

তালিবে ইলম তখন তাদেরকে ছোট লেজযুক্ত শিং ওয়ালা হরিণের একটা চামড়া ও স্থল সুদাবের তেল এনে দিতে বলল। তারা সেগুলো নিয়ে এল জ্বিনটা চেঁচিয়ে উঠল। সে বলল, আমি কি তোমাকে এ কাজ খোদ আমার বিরুদ্ধে করার জন্য শিখিয়েছি!

তালিবে ইলম তার নাকে সেই তেলের ফোঁটা দিতেই জ্বিনটা মরে গেল। মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠল। এবং তারপর থেকে কোনও জ্বিন শয়তান তার কাছে আসেনি।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।