জ্বিনের মাধ্যমে নবুয়তের সংবাদ পেয়ে ইসলাম গ্রহণ
ছাওয়াদ বিন ক্বারির (রাঃ) স্বীয় ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, জাহেলিয়াতের যুগে এক জ্বীনের সাথে আমার সখ্যতা ছিল। সে আমাকে ভবিষ্যতের বহু ঘটনাবলির আগাম সংবাদ বলে দিত এবং আমি তা মানুষের নিকট বলে বেড়াতাম। আমার ভবিষ্যদ্বাণী ফলতে শুরু করলে মানুষ ব্যাপকভাবে আমাকে ভক্তি করতে শুরু করল। ক্রমে ক্রমে আমাকে নরজ- নেয়াজও দিতে আরম্ভ করল। তিনি বলেন, এক রাতে সেই জ্বীনটি আগমন করে আমাকে নিদ্রা থেকে জাগ্রত করে বলল, তুমি তো একজন বুদ্ধিমান মানুষ, তুমি ভাল ভাবে শুনে রাখ, লুয়াই বিন গালিবের বংশ ধরের মধ্যে একজন নবী জন্ম গ্রহণ করেছে। অতঃপর সে কয়েকটি কবিতা পাঠ করল। তার মর্মার্থ নিম্নরুপঃ
আমি ঐ সকল জ্বীনদের অবস্থা দেখে তাজ্জব না হয়ে পারি না; যারা হেদায়েত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে পেরেশান হয়ে স্বীয় উটে আরোহিত হয়ে মক্কায় গমন করেছে। আরবের সেই সর্দারের ব্যাপারে তোমারও মনোযোগী হওয়া উচিত এবং সফর করে বনু হাশিমের সে সর্দারের নিকট যাওয়া উচিৎ। ছাওয়াদ বলেন, (আরবে আবির্ভাব) সেই নবী সম্পর্কিত কবিতাসমূহ শ্রবণান্তে সমস্ত রাত আমি ছটফট করে কাটালাম। পরদিন রাতেও সেই জ্বীন আগমন করে আমাকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে ঐ পংক্তিগুলো শোনল। তৃতীয় রাতেও ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে আমার অন্তর ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ল। অতঃপর আমি মক্কায় গমন করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে দেখা মাত্র বললেনঃ মারহাবা হে ছাওয়াদ বিন ক্বারিব। আমি জানি কি উদ্দেশ্যে তোমার আগমন।
আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার প্রশংসায় একটি কবিতা রচনা করেছি। আগে আপনি তা শুনুন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুমতি পেয়ে আমি ঐ কবিতাটি আবৃতি করলাম। ঐ কবিতার শেষ লাইনটির ভাবার্থ নিম্নরূপঃ
হে আল্লাহর রাসূল! যে দিন ছাওয়াদের জন্য কোন সুপারিশ থাকবে না; সেদিন আপনি আমার জন্য সুপারিশ করবেন। (বায়হাকী)