জিযিয়া ও বন্দীদের সম্পর্কে হযরত ওমর (রাঃ ) এর পত্র – শেষ পর্ব
অতঃপর আমরা কয়েদীদের একেকজন করিয়া সামনে আনিয়া তাহাকে ইসলাম গ্রহণের বা খৃষ্টধর্ম অবলম্বনের এখতিয়ার দিতাম। যদি সে ইসলামকে গ্রহণ করিত তবে আমরা কোন শহর বিজয়ের সময় যেরূপ আল্লাহু আকবার বলিয়া তাকবীর দিতাম। তারপর তাহাকে আমরা নিজেদের মধ্যে টানিয়া লইতাম। আর যদি সে খৃষ্টধর্মকে অবলম্বন করিত তবে খৃষ্টাণগণ আনন্দধ্বনি করিয়া উচিত এবং তাহাকে নিজেদের দলে টানিয়া লইত। আমরা তাহার উপর জিযিয়া আরোপ করিয়া দিতাম এবং আমরা উহাতে এরূপ মর্মাহত হইতাম যেন আমাদের কোন লোক তাহাদের দলে চলিয়া গিয়াছে।
এইভাবে একের পর এক আসিতে থাকিল। অবশেষে আবু মারইয়াম আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমানকে সকলের সম্মুখে আনা হইল। বর্ণনাকারী কাসেম (রহঃ) বলেন, আমি তাহার সাক্ষাৎ লাভ করিয়াছি। তিনি তখন বনু যুবাইদ গোত্রের সর্দার ছিলেন। আমরা তাহাকে সম্মুখে আনিয়া তাহার নিকট ইসলাম ও খৃষ্টধর্ম পেশ করিলাম। তাহারা পিতা, মাতা ও ভ্রাতাগণ খৃষ্টাণদের দলে উপস্থিত ছিল। আবু মারইয়াম ইসলাম গ্রহণ করিলেন।
আমরা যখন তাহাকে নিজেদের মধ্যে আনিতে লাগিলাম তখন তাহার পিতামাতা ও ভাইগণ তাহার উপর ঝাপাইয়া পড়িল এবং আমাদের সহিত টানাটানি আরম্ভ করিল। টানাটানিতে আবু মারইয়ামের কাপড় পর্যন্ত ছিড়িয়া ফেলিল। পরিশেষে আমরা তাহাকে লইয়া আসিলাম। আজ তাহাকে তুমি আমাদের সর্দাররূপে দেখিতে পাইতেছে। অতঃপর হাদিসের পরবর্তী অংশ বর্ণিত হইয়াছে।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
জিযিয়া ও বন্দীদের সম্পর্কে হযরত ওমর (রাঃ ) এর পত্র – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন