চাচা আবূ তালিবের সাথে বাণিজ্য ভ্রমণ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বয়স যখন বার বছর তখন একবার আবূ তালিব বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় গমনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন।


একে তো ভ্রমণ খুবই কষ্টকর বিষয় তদুপরি অনেক দূরদূরান্তরের পথ তাই হযরত আবূ তালিব প্রাণপ্রিয় কঠোর বায়না এবং আকুলি ব্যাকুলি প্রকাশে তিনি তাঁকে সফর সাথী করতে বাধ্য হন।


অবশেষে আবূ তালিব তাঁকে নিয়েই সিরিয়ার পথে রওয়ানা হন। তাঁরা যখন সিরিয়ার বোসরা শহরে উপনীত হন তখন বোহায়রা নামক এক খ্রীষ্টান ধর্মযাজকের সাথে তাঁদের সাক্ষাত হয়। বোহায়রা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- কে এক দর্শনেই চিনে ফেলেন।


বিভিন্ন নিদর্শন দেখে বোহায়রা নিশ্চিত হন, ইনিই তওরাত ও ইনজীলে বর্ণিত আখেরী নবী মুহাম্মদ (সাঃ)। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে বোহায়রা আবূ তালিবকে বারবার নিষেধ করলেন, তিনি যেন কিছুতেই বালক মুহাম্মদকে (সাঃ) সাথে করে ইহুদীদের শহর সিরিয়ায় গমন না করেন।


কেননা, ইনি আখেরী নবী বলে বুঝতে পারলে ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হবে। বোহায়রা পাদ্রীর সতর্কীকরণে আবূ তালিব বোসরাতেই নিজের ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পন্ন করে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন।

আরো পড়তে পারেন...

চমৎকার কাহিনী!!

হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি পাহাড়ের…

মূসার জন্ম ও অতি নাটকীয় শৈশবকাল

দেশে ফেরাউন ফেঁপে উঠেছিল অহংকারে; সে সেখানকার লোকদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করেছিল। এক শ্রেণীকে নিপীড়ন…

মহানবী (সা:) কে খুন করতে এসে যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করল এক খুনি

মহানবী (সা) একদিন একটি গাছের তলায় ঘুমিয়েছিলেন। এই সুযোগে দাসুর নামের একজন শত্রু তাঁর পাশে…

চাচা আবূ তালিবের সাথে বাণিজ্য ভ্রমণ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বয়স যখন বার বছর তখন একবার আবূ তালিব বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় গমনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন।


একে তো ভ্রমণ খুবই কষ্টকর বিষয় তদুপরি অনেক দূরদূরান্তরের পথ তাই হযরত আবূ তালিব প্রাণপ্রিয় কঠোর বায়না এবং আকুলি ব্যাকুলি প্রকাশে তিনি তাঁকে সফর সাথী করতে বাধ্য হন।


অবশেষে আবূ তালিব তাঁকে নিয়েই সিরিয়ার পথে রওয়ানা হন। তাঁরা যখন সিরিয়ার বোসরা শহরে উপনীত হন তখন বোহায়রা নামক এক খ্রীষ্টান ধর্মযাজকের সাথে তাঁদের সাক্ষাত হয়। বোহায়রা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- কে এক দর্শনেই চিনে ফেলেন।


বিভিন্ন নিদর্শন দেখে বোহায়রা নিশ্চিত হন, ইনিই তওরাত ও ইনজীলে বর্ণিত আখেরী নবী মুহাম্মদ (সাঃ)। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে বোহায়রা আবূ তালিবকে বারবার নিষেধ করলেন, তিনি যেন কিছুতেই বালক মুহাম্মদকে (সাঃ) সাথে করে ইহুদীদের শহর সিরিয়ায় গমন না করেন।


কেননা, ইনি আখেরী নবী বলে বুঝতে পারলে ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হবে। বোহায়রা পাদ্রীর সতর্কীকরণে আবূ তালিব বোসরাতেই নিজের ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পন্ন করে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন।