
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দরবারে রাজবৈদ্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশদেশান্তর থেকে চিকিৎসকরা এলেন যোগ দিতে। গোপালকে রাজা দায়িত্ব দিলেন চিকিৎসক নির্বাচনের। গোপাল খুশিমনে বসে তাদের মেধা পরীক্ষায়।
—আপনার চিকিৎসালয়ের আশপাশে ভূতের উপদ্রব আছে?
—জি, আছে। প্রচুর ভূত। ওদের অত্যাচারে ঠিকমতো চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারি না। দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছে।
এবার দ্বিতীয় চিকিৎসকের পালা।
—আপনার চিকিৎসালয়ের আশপাশে ভূতের উপদ্রব কেমন?
—আশ্চর্য, আপনি জানলেন কীভাবে! ওদের জ্বালায় আমি অস্থির। দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছে।
এভাবে দেখা গেল, সবার চিকিৎসালয়ের আশপাশেই ভূতের উপদ্রব আছে। একজনকে শুধু পাওয়া গেল, যাঁর কোনো ভূতসংক্রান্ত ঝামেলা নেই। গোপাল তাঁকে রাজবৈদ্য নিয়োগ দিলেন। পরে দেখা গেল, এই চিকিৎসকই সেরা। রাজাও খুশি।
একদিন রাজা ধরলেন গোপালকে। গোপাল বললেন, “আজ্ঞে মহারাজ, দেখুন, সবার চিকিৎসাকেন্দ্রের আশপাশে ভূতের উপদ্রব শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। এর অর্থ হলো, তাঁদের রোগী মরে এবং ভূতের সংখ্যা বাড়ে…আর যাঁকে নিয়েছি, তাঁর ওখানে কোনো ভূতের উপদ্রব নেই…অর্থাৎ তাঁর রোগী একটাও মরে না।”