গরীবের খানা_মোহাম্মদ লিয়াকত আলী

একাধিক কন্যা সন্তান লালন পালন করে বিয়ে দানকারী পিতা-মাতার জান্নাতের খোশ খবর দিয়েছেন আল্লাহর নবী (সঃ)।এদিকে থেকে ভাগ্যবান পিতা মাজহার সাহেব। তার কোন পুত্র সন্তান নেই। যৎসামান্য জমি আছে তার । দুই মেয়েই হবে উত্তরাধিকার। বড় জামাই ব্যবসায়ী। ভাল মুনাফা হলে বাড়িতে আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। ভুড়িভোজের পর মদ পানও হয়। তবে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীকে একটু দূরে রাখেন এ জাতীয় অনুষ্ঠান থেকে। ছোট জামাই অল্প বেতনের চাকরি করেন। নামাজ রোজা ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অভ্যস্থ।

কষ্টে সিষ্ট দিন কাটান। তাই প্রতিবেশীদের আশা, ছোট জামাই শ্বশুড়ের প্রিয়ভাজন হবেন। আদর আপ্যায়ন বেশী পাবেন। উত্তরাধিকার সূত্রে জমি বন্টনের সময় ছোট মেয়ে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু বাস্তবে উল্টো দেখে সবাই হতবাক হয়। বড় জামাইকেই ভাল-ভাল উপহার পাঠায়। ঘনঘন দাওয়াত করে খাওয়ায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে সমাদর করা হয়। হাশেম সাহেব এলাকার একজন প্রতিবাদী কন্ঠ। সামাজিক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার। বিষয়টি নজরে আসায় একদিন জিজ্ঞেস করলেনÑ আপনি কেমন মানুষ ? ছোট জামাই এত ভাল মানুষ তাকে পাত্তাই দেন না।মদ খোরটাকে মাথায় তুলে নাচেন ? : সবে মাত্র মেয়ের বাপ হয়েছেন। এখনো শ্বশুড় হন নাই। তাই এই হিসেব বুঝেন না। ভাল মানুষতো ভালই। অল্পেই খুশি।  আদর না করলেও রাগ করবে না। মেয়েকে জ্বালাবে না। শয়তানদের খুশি রাখতে কিছু মাশুল দিতে হয়। যুক্তি ভাল দিয়েছেন। ভাল মানুষদের ঠকানো খুব সোজা। জুলুম করলে প্রতিবাদ করেনা। মার খেলেও কান্দেনা। তাদের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গেন আর তেলা মাথায় তেল ঢালেন। সখ করে ঢালিনা। কাঠ ফাডা জমিতে বালতি ভইরা পানি ঢাইলা লাভ নাই। তাতে জমি ভিজবে না। আল্লায় যদি বৃষ্টি না দেয়। খালি ঘর দুইটা ভাড়া দিয়া কিছু টাকা পাইতাম। অনেকদিন মেরামত করা হয়না। চাল দিয়া পানি পরে। শীতকালে ওয়াশার পানি সপ্লাই কমে যায়।সারাদিন পানি থাকেনা। তাই ভাড়াটিয়া পাইনা। অথচ সরকার বছরে দুই বার গ্যাস বিল আর একবার বিদ্যুৎ বিল বাড়ায়। এখন ভাড়ার চেয়ে বিল দেয়া লাগে বেশী।

ছোট জামাইকে বলেছিলাম, নতুন টিন লাগায়া ঘরটা মেরামত করে মটর ও গাজী ট্যাংক বসিয়ে পানি স্টকের ব্যবস্থা করতে। এবং ভাড়া যা পাওয়া যায় নিয়ে নিতে। মনে করছিলাম সুযোগটা হাতছাড়া করবে না। ভবিষ্যতে ওয়ারিশ সূত্রে ঘরটা সেই পেয়ে যেত। কিন্তু তার মুরাদে কুলালোনা। শুনে বড় জামাই একেবারে কোর্ট-স্ট্যাম্প নিয়ে হাজির। জমিটা বড় মেয়েকে লিখে দিলে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফ্লাট বাড়ি করবে। : আর আপনি রাজি হয়ে গেলেন ? : এখনো হইনি। না হয়ে করবো কি ? ছোট জামাইকে দিলে এমনিই পরে থাকবে। বিল আটকা পরবে। একদিন লাইন কেটে দিবে। শেষে আম ও যাবে, ছালা ও যাবে। : শুনলাম আপনার ছোট মেয়ের শ্বশুর বাড়ির অবস্থা খারাপ না। তবু তার এই অবস্থা কেন ? নুন আনতে পান্তা ফুরায়? : সেখানে ও একই অবস্থা। জামাইর বড় দুই ভাই। মাস্তানী চাদাবাজী কইরা ভালই কামায়। মাকে আঙ্গুর, বেদানা, আপেল কিনা খাওয়ায়। বাবাকে দামী দামী পাঞ্জাবী, জায়নামাজ আর টুপি কিনা দেয়। শোনলাম এইবার বাবা- মাকে হজ্জে পাঠাবে। হজ্জে যাওয়ার আগে বাড়ীটা কায়াদা করে লিখে নিবে বড় ভাই। : বলেন কি ? অন্য দুই ছেলেকে কি করবে? : মেঝোটা টের পেয়ে হৈ চৈ শুরু করে দিছে। এষনবড় দুই ভাই গুতাগুতি কইরা যে যতদূর বাগাইতে পারে। আমার জামাইর কপালে একটা ময়লা ডোবা থাকবে। ভরাট করে কিছু করতেও পারে, নাও করতে পারে। শেষে বেচার চিন্তা ভাবনা করবে। বড় ভাইরা এসে বলবে – বাবা- দাদার ভিটা, বাইরের লোকদের কাছে বেচবি কেন? আমাদের দিয়ে দে । বলে হাতে অল্প কিছু টাকা ধরিয়ে দেবে। : দুনিয়াতে ভাল মানুষগুলো এভাবে ঠকবে, আর আপনারা তামাশা দেখবেন, আর শয়তানদেরই সাপোর্ট করবেন? : কি আর করবো? আপনার আমার কথায়তো আর দুনিয়া চলবে না। দুনিয়ায় ভাল মানুষ হয়ে বাচার উপায় নাই। ভাল মানুষের ঘরেই মাস্তান, চাঁদাবাজ, হাইজাকার তৈরী হচ্ছে। ভবিষ্যতে এদের ঘর থেকে যে কি বেড় হবে, আল্লাহ- মালুম। : এত হতাশ হবেন না। হয়তো এদের ভিতর থেকেই বড় রকমের ভাল মানুষ বেড়িয়ে আসবে। : এসব কথা ওয়াজ মাহফিলেই চলে। বাস্তব বড় কঠিন। ইতিহাস পড়েন নাই? ফেরেস্তা শয়তান হয়েছে। কোন শয়তান ফেরেস্তা হয় নাই। : উদাহরণটা ঠিক নয়। মানুষই মানুষের জন্য উদাহরণ। আল্লাহর নবী ও সাহাবাদের সংস্পর্সে অনেক বড় বড় খুনি, ব্যভিচারী, চোর- ডকাত সোনার মানুষ হয়েছিল।

 

: অতীতে কত কিছু হয়েছিল। সামান্য অপরাধ করই মানুষ বানর হয়ে গিয়েছিল। এখন দুনিয়াতে এত জগন্য রকম আকাম-কুকাম চলতাছে একটা মানুষও কি কুত্তা বিলাই হইছে? ছোট্ট মশার ঝাক নমরুদের গুষ্ঠি কামড়াইয়া মারছে । এখনকার মশা বস্তির গরীব মানুষরেই কামড়ায়। এয়ারকন্ডিশন রুমে ঢুকবার পারেনা। : আল্লাহর ক্ষমতা নিয়ে এরকম মশকরা করবেন না। আল্লাহ নারাজ হবে। : আল্লাহর ক্ষমতা দেখার জন্যই এ সব কথা বলি। আল্লাহ দেখেও যখন কিছু করবেনা। তখন আমার উল্টাপাল্টা কথা শুনে হয়তো ক্ষেপে গিয়ে কিছু ঘঠিয়ে ফেলবে। : চুপ করেন। আমার শরীর কাপতাছে। হয়তো এখনি আল্লাহর গজব নেমে আসবে। : আমিতো তাই চাই। যেই দুনিয়ায় ভাল মানুষের জায়গা নাই। সেই দুনিয়া টিকায়া রাইখা লাভ কি? ধইরা মারুক না একটা আছাড়।আমার খুব সখ আল্লাহর গজব দেখার। : এইবার একটু থামেন। সত্যিই যদি আস-সামুদ লুৎ জাতির মত গজব শুরু হয়, আপনার অবস্থা কি হবে? : না দেখলে বুঝবো ক্যামনে ? জীবনে অনেক কিছু দেখছি। “জীবনে যা দেখলাম” বই যিনি লিখেছেন, তিনি কি আমার চেয়ে বেশী দেখেছেন? আমার লেখার ও জানার যোগ্যতা নেই, তাই বলে বেড়াই। নিঃস্প্রান শিশু হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখতে দেখেছি। সতী নারী ধর্ষন করে আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানাতে দেখেছি। জীবন্ত মানুষের মাথা ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করা দেখেছি। তবু আল্লাহর গজব দেখা হইলনা। ছোট কালে দুই বিড়ালের ঝগড়া দেখলে গায়ে পানি ছিটাইয়া দিতাম। এতে বিড়াল আরো ক্ষেপতো। আল্লাহকে ক্ষেপানোর আর কি কোন পথ আছে? : ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ্, নাআউজুবিল্লাহ। আপনি আল্লাহরে ক্ষেপানোর রাস্তা খোজেন, আমি যাই। : আমার ক্থা শুনে আল্লাহ আপনার মত সইরা পরে। ইস্্রাফিল ফেরেস্তারে সামনে পাইলে জিগাইতামÑ এখনো ফুঁ দেয়না ক্যান? : ই¯্রাফিল আঃ কি বাচ্চা পোলাপাইন, বাঁশি পাইলেই ফুঁ মারবো? : কয় কোটি বছর বইসা আছে, আর কয় কোটি বছর থাকবো, ঠিক নাই। তাই একটু তাগাদা দেয়া দরকার। মাজাহার সাহেব এসব কথা সবার সাথে বলেন না।

মিশুক ও বুদ্ধিমান লোক হাশেম সাহেবের সাথেই প্যাচাল পারেন। লোকটা অধৈয্য হয়না, রাগ করেনা। সাধ্যমত জবাব দেয়ার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু আজকে প্যাচালে একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। একেবারে আল্লাহ ও ফেরেস্তাদের জব ডিসক্রিপশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আর এগুতে দেয়া যায়না। তাইÑ “কালো সালামা।” মাজহার সাহেবের ছোট জামাই এর সাথে হাশেম সাহেবের জানা শোনা আছে। শ্বশুড়ের কাছ থেকে চলে আসার একটু পরেই দেখা হয় জামাইয়ের সাথে। : আজ আপনার শ্বশুড়ের সাথে একচোট ঝগড়া করলাম। : কি নিয়া ঝগড়া করলেন? : আপনাকে নিয়া। : আমিতো কখনো ঝগড়া করিনা। আমাকে নিয়া আপনি ঝগড়া করতে গেলেন কেন? : আপনি করেন না বলেই তো আমাকে করতে হলো। মজলুমের পক্ষে কাউকে না কাউকেতো দাড়াইতেই হবে। : আমি আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আমাকে মজলুম মনে করার কোন কারন নেই। শ্বশুড় বয়স্ক মানুষ, মুরব্বী। তাকে সম্মান করা দরকার। তার সাথে ঝগড়া করা ঠিক নি। : এমন সুন্দর একটা জবাব আপনার কাছে আমি আশা করছিলাম।
আল্লাহর নবীর সাঃ এক সাহাবী নবী করিম সাঃ কে বলেছিলÑ আমার কিছু আত্মীয় আমাকে ঘৃনা করে, কিন্তু আমি তাদের সম্মান করি। তারা আমাকে বঞ্চিত করে, আমি তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেই। তারা আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি যুক্ত রাখার চেষ্টা করি। তারা আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে। আমি তাদের সাথে ভাল ব্যাবহার করি। জবাবে আল্লাহর নবী সাঃ বলেন, তুমি যেন তাদের মুখে বালু নিক্ষেপ করেছো। : হাদিসটি আমিও পড়েছি। কিন্তু সেই বালুর স্বাদ এখনো টের পাইনি। : আপনি পাবেন কেন? বালু যাদের মুখে পরে, তারাই টের পায়। আকস্মিক ভাবে হার্ট স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন মাজহার সাহেবের স্ত্রী। দাফন- কাফনের দায়িত্ব পায় ছোট জামাই। এসব কাজে বড় জামাইয়ের কোন আগ্রহ নেই। দুনিয়াতে সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিষ প্রিয়জনের মরা লাশ। এই আপদ ঘর থেকে বিদায় না হওয়া পর্যন্ত কারো সস্তি নেই। শ্বাশুড়ির কুলখানিতে দাওয়াত ও অতিথী আপ্যায়নের দায়িত্ব পায় বড় জামাই। এই কাজ তার কাছে বিয়ে শাদীর মতই আনন্দদায়ক। ধুমধাম খাওয়া দাওয়া হবে সারাদিন। মাঝখানে এক হুজুর বিশ- পঁচিশ মিনিট দোয়া দরুদ পরে মুনাজাত দিয়ে চলে যাবে। বড় জামাইর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বড় এক পাতিলে সাধারণ তেহারী ও ছোট এক পাতিলে স্পেশার বিরানী পাকানো হয় ।

সাধারণ চাল ও সয়াবিন তেলের তেহারী সাধারণ প্রতিবেশী আত্মীয় ও ফকির মিসকিনদের জন্য। চিনিগুড়া চাল, বাটার ওয়েল ও দামী মশল্লা দিয়ে পাকানো ভি.আই.পি মেহমানদের জন্য স্পেশাল বিরিয়ানী। বর্তমানে সমাজে এটাই একমাত্র ভোজ অনুষ্ঠান, যেখানে কোন গিফট্ বক্স ছাড়া প্রবেশাধিকার আছে। তাই খাদ্যের মান সন্তোষজনক না হলেও মেজবানকে সমালোচনার জবাব দিতে হয় না। এলাকার ফালু বাবুর্চির রান্না তেহারীর অপূর্ব স্বাদ হয়েছে আজ। সবাই পেট পুরে খেয়ে বলেছে- অপূর্ব, চমৎকার। দারুন রেধেছে ফালু। একই বাবুর্চি পাক করেছে ছোট পাতিলে স্পেশাল বিরানী। ভি.আই.পি মেহমান বড় জামাইর বন্ধু- বান্ধব , আত্মীয়- স্বজন। কিন্তু খাবার মুখে দিয়ে একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া- চাওয়ী করছে। গলা দিয়ে খাবার নামছে না।  সবাই যেন বালু গিলছে। তাদের সাথে বসেছিল ছোট জামাইও । কিন্তু তার প্লেটে ছিল বড় পাতিলের তেহারী। তাকে মজা করে খেতে দেখে একজন বললÑ : এসব অখাদ্য গিলছেন কেমনে? আমারতো বমি আসতেছে। : একটু খেয়ে দেখেন গরীবের খানা। এটা বড় পাতিলের মাল। বড় জামাই দৌড়ে গিয়ে বড় পাতিল থেকে এক ডিশ তেহারী এনে কয়েক জনকে পরীক্ষামূলক খেতে দেয় । খেয়ে বলে- চমৎকার হয়েছে। এগুলো আমাদের দেন নাই কেন? তারাতারি নিয়ে আসুন। ক্ষুধায় পেট জ্বলছে। : সরি ভাই সব, আল্লাহর ওয়াস্তের খানা। এক বৈঠকে সব শেষ। আর নেই। ছোট পাতিল ভর্তি। শালার বাবুর্চি করেছে কি? এত দামী চাল ঘি তেল মশল্লা দিলাম। শালারে আজ খুন কইরা ফালামু। : বাবুর্চিরে কিছু বললে আপনাকেই মেরে ভূত বানাবে।

যেয়ে দেখেন Ñ সবাই খেয়ে কেমন তারিফ করতেছে বাবুর্চির। : তাই নাকি? ঘটনা উল্টো হলো কেন? দুই পাতিলে কোন ক্রস কানেকশন হইছে নাকি? : বাবুর্চির পাকের সাথে টি.এন্ড.টির কোন সম্পর্ক নাই। ক্রস কানেকশন হয়েছে অন্য জায়গায়। হুজুরতো মুনাজাত দিয়া পেট ভরে খেয়ে শুকুর আলহামদুলিল্লাহ বলে বিদায়। দুটি হাদিসও বলার সুযোগ পায় নাই। “সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঐ ভোজ, যেখানে শুধু ধনীরা বসার সুযোগ পায়, গরীবদের অধিকার নাই।” “দুর্ব্যবহারের জবাবে যারা ভাল ব্যবহার করে, তারা যেন দুর্ব্যবহারকরীর মুখে বালু নিক্ষেপ করে।” আমি যে কিছু মানুষের মুখে বালু নিক্ষেপ করেছি- আজ টের পেয়েছি।

আরো পড়তে পারেন...

৫০০ বছর পর -আবুল কালাম আজাদ

কয়টা বাজে জানার জন্য আব্দুল্লাহ ঞরসব বলে শব্দ করে। সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের মধ্যে রেড সিগন্যালে…

গাধার সংগীতচর্চা

এক গাঁয়ে এক ধোপার ছিল একটা গাধা। তার নাম অদ্ভূত। দিনভর গাধা ধোপার কাপড়ের বোঝা…

গাধা ও ব্যবসায়ী

এক লবণের ব্যবসায়ী সস্তায় পেয়ে একদিন বাজার থেকে প্রচুর লবণ কিনল। বোঝা বইবার জন্য ব্যবসায়ীর…