কাফেরদের উপর ঝড়োহাওয়া
আল্লাহ তায়ালা কোরাআনুল কারীমে বলেছেন, হে ইমানদাররা তোমরা আল্লাহ পাকের সেই নেয়ামতের কথা স্বরণ কর, যখন তোমাদের উপর কাফের বাহিনী আক্রমণ করল তখন আমি তাদের উপর প্রবল বায়ু প্রবাহিত করে দিলাম এবং এমন বাহিনী দ্বারা তোমাদের সাহায্য করলাম যা তোমরা দেখতে পাওনি।
এ আয়াতে আল্লাহ পাক খন্দকের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। ঐ যুদ্ধে কোরাইশ গোত্রের কাফের এবং গাতফান ও বনু কোরাইশ গোত্রের ইহুদীসহ মোট বার হাজারের এক বিশাল বাহিনী মদীনার উপর চূড়ান্ত আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত ছালমান ফারসীর পরিকল্পনা অনুযায়ী মদীনার চতুর্দিকে গভীর পরিখা খনন করলেন, যেন তা অতিক্রমণ করে শত্রু বাহিনী শহরে প্রবেশ করতে না পারে। পরিখা অতিক্রম না করতে পেরে কাফেররা একমাস পর্যন্ত মদীনা অবরোধ করে রাখল। ঐ সময় উভয় পক্ষ হতে তীর ও পাথর বিনিময় হল। আল্লাহ পাক মুসলমানদেরকে বাতাস দ্বারা সাহায্য করলেন। কাফেরদের উপর এমন বায়ু প্রবাহিত হল, যার ফলে তাদের তাঁবুগুলো উপড়ে গেল। অশ্বগুলো এদিকে সেদিকে ছুটাছুটি করে পালাতে লাগল। বাতাসের ঝাপটায় তাদের চুলা ও হাঁড়িগুলো উল্টে গেল। অতঃপর এমন কনকনে শীত নেমে এল যে, তাদের হাত-পা জমে অকেজো হয়ে গেল। এ পরিস্থিতিতে কাফেরদের মধ্যে চরম হতাশা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। তোলাইহা বিন খোয়াইলেদ আসাদী তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে বলল, মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমাদের উপর যাদু করেছে, এখন আর এখানে অবস্থান করা তোমাদের জন্য সমীচীন হবে না। অতঃপর কাফেররা সকলে পালাল।
বোখারী শরীফে ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ পূবালী বাতাস দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। আর কওমে আদকে ধ্বংস করা হয়েছে পশ্চিমা বাতাস দ্বারা।