কাদরিয়া সম্প্রদায় সম্পর্কে সতর্কবাণী
হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে কাদরিয়াহ নামে একটি সম্প্রদায় আবির্ভূত হবে। আমার উম্মতের এ সম্প্রদায়টি অগ্নি পূজকদের মত হবে। এ রেওয়াতটি তাবরানীর মোজামে আত্তছাতে ও হযরত আনাস হতে বর্ণিত হয়েছে।
কাদরিয়া সম্প্রদায়ের বক্তব্য হল, যে কোন কাজ সমাপ্ত করতে মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীন, মানুষের কোন কাজে আল্লাহ পাকের কোন দখল নেই। অর্থাৎ আল্লাহ পাক যেন অপরাগ ও শক্তিহীন হয়ে পড়েছেন, আর মানুষ সর্ব ক্ষেত্রে শক্তিমান ও স্বাধীন ক্ষমতার অধিকারী।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর উক্ত ভবিষ্যদ্বানীটি সত্যে প্রমাণিত হয়েছে। ফেরকায়ে মোতাজিলা ও রাফেজী ফেরকা উক্ত সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত কেননা, খালেক ও মাখলুকের এখতিয়ার ও ক্ষমতার ব্যাপারে তারাও ঐ একই নীতির অনুসরণ করে থাকে।
অগ্নিপূজকরা ভাল ও মন্দের ক্ষেত্রে দুজন পৃথক খোদার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। সকল মঙ্গল ও ভাল কাজের সৃষ্টিকর্তা হল ইয়াজদান এবং অমঙ্গল ও অসুন্দরের সৃষ্টিকর্তা হল আহরামান কাদরিয়া সম্প্রদায় ও দু খোদার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। তাদের ধারনায় মূল পদার্থের সৃষ্টিকর্তা ও মালিক আল্লাহ বটে।
তবে কর্মজগতের মালিক ইনসান মোট কথা মৌলিক বিশ্বাসের ক্ষেত্রে অগ্নিপূজকদের সাথে কাদরিয়া সম্প্রদায়ের এই মোনাছাবাত ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই রাসূল (সাঃ) বলেছেন, এ সম্প্রদায়ের কেউ রোগাক্রান্ত হলে তাদের সেবা করো না এবং তাদের নামাজে জানাজা ও পড়ো না। (আবু দাউদ শরীফ)