
আমি অক্ষর্। আমি আমাদের কলেজ হোস্টেলে থাকি। আমাদের কলেজ হোস্টেল নিয়ে অনেক ভয়ের কাহিনি আছে। একটি কাহিনি আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমাদের হোস্টেল বিল্ডিংটা অনেক পুরানো। হোস্টেলের পিছনেই, একদম হোস্টেলের সাথে লাগানো একটি অনেক বড় এবং অনেক পুরানো কবরস্থান। কাহিনিটা আজ থেকে ৪/৫ বছর আগের। সে সময় আমাদের যে বড় ভাইরা হোস্টেলে থাকতো তাদের নিয়ে এই কাহিনি।
সে সময় যে ভাইয়ারা থাকত তাদের মধ্যে সুমন নামে একটা ভাইয়া ছিল। সুমন ভাইয়া একদিন অনেক রাত পর্যন্ত পড়ছিলো। হোস্টেলের বাকি সবাই ঘুমায় গেছিলো। একসময় হঠাৎ তার টয়লেটের চাপ পায়। তখন সুমন ভাই তার রুমমেট ফিরোজ ভাইকে ডেকে নিয়ে টয়লেটে যায়।
সুমন ভাই টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়, আর ফিরোজ ভাই বাহিরে দাঁড়ায় থাকে। ফিরোজ ভাই অনেকক্ষণ প্রায় ৩০ মিনিট বাহিরে দাঁড়ায় থাকে। এর পর সে বিরক্ত হয়ে সুমন ভাইকে ডাকতে থাকে। কিন্তু সুমন ভাই কোনো উত্তর দেয় না।
ফিরোজ ভাই রেগে গিয়ে টয়লেটের দরজা ধাক্কাতে থাকে। তবুও সুমন ভাই কোনো উত্তরই দেয় না। এবার ফিরোজ ভাই ভয় পেয়ে যায়। সে হোস্টেলের সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে আসে। সবাই মিলে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি ও দরজা ধাক্কায়। কিন্তু সুমন ভাই কোনো উত্তরই দেয় না।
এর পর সবাই মিলে টয়লেটের দরজা ভেঙে ফেলে। দেখতে পায় সুমন ভাইয়ের পা দুটো উপর দিকে আর মাথাটা টয়লেটের প্যানের গর্তের ভিতরে ঢুকানো। সুমন ভাই মরে গেছে।
এই গল্পটা সত্যি নাকি মিথ্যা আমি জানি না। কিন্তু এখনো ওই টয়লেটের প্যানের গর্তের মুখটা চারদিকে ভাঙা। আর আমরা এখন যে বন্ধুরা হোস্টেলে থাকি, তারা খুব দরকার না হলে রাতের বেলায় ওই টয়লেটে যাই না।