এক যুবকের সাথে এক চোখ কানা জ্বিন সুন্দরীর বিয়ে অতঃপর তালাক
কাজীউল কোজাত কাজী জালালুদ্দিন আহমদ ছিলেন, কাজী হোসামুদ্দিন রাজি হানাফির সন্তান। পিতা পুত্র উভয়েই ছিলেন কাজীউল কোজাত। পুত্র জালালুদ্দিন বলেন, যৌবনে একবার আব্বা আমাকে নানাবাড়ি থেকে মা এবং ভাইবোনদের নিয়ে আসার জন্য পাঠিয়েছিলেন। পথে এক জায়গায় প্রচন্ড বৃষ্টি এবং রাত হওয়ায় আমি একটি গুহায় আশ্রয় নিলাম।
পথশ্রমের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লাম। অনেক রাতে কে যেন আমাকে ঘুম থেকে জাগালো। তাকিয়ে দেখি মাঝারি গড়নের মধ্য বয়সী এক নারী। তার এক চোখ কানা। আমি তাকে দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। সে বলল ভয় পেয়োনা আমি তোমার সাথে আমার চাঁদের মতো সুন্দরী মেয়ের বিয়ে দিতে এসেছি। আমি ভয় পেয়ে বললাম আল্লাহ মঙ্গল করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই নারীর আকৃতি বিশিষ্ট অন্য কয়েকজন এলো। একজনের পরিচয় দিলো সে কাজী। অন্য কয়েকজন সাক্ষী। কাজী প্রস্তাব দিলো এবং অদেখা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিলো। আমি কবুল বললাম।
কিছুক্ষণ পর একটি মেয়ে নিয়ে এলো। তারও এক চোখ কানা। মেয়েটিকে আমার কাছে রেখে তার মা চলে গেল। পরদিন আমি যেতে চাইলে আমাকে যেতে দিল না। ৩ দিন কেটে গেল। চতুর্থ দিন প্রথমে দেখা সেই মহিলা এলো। সে বলল, আমার মেয়ে মনে হয় তোমার পছন্দ হয়নি। তুমি হয়তো বিচ্ছেদ চাও। ঠিক আছে তাকে তালাক দিয়ে দাও। আমি তালাক দিলাম। মেয়ে এবং মেয়ের মা চলে গেল। আমি যাত্রা পথে চলতে শুরু করলাম। তারপর আর কখনো তাঁদেরকে দেখিনি।
কাজী শেহাব ইবনে ফজলুল্লাহ জালালুদ্দিন জিজ্ঞেস করলেন, স্ত্রীর সাথে তুমি কি সহবাস করেছিলে? জালালুদ্দিন বলল, না সহবাস করিনি।