এক দাসীর এলেম

এক বুজুর্গ বলেন, একবার আমি আমার দাসীকে সাথে নিয়ে বাজারে গেলাম। সেখানে তাকে এক স্থানে বসিয়ে রাখলাম, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেখানে ফিরে এসে দেখলাম, দাসী সেখানে নেই। আমি মনে মনে তার উপর রাগ করে একাই বাড়ীতে ফিরে এলাম। কিছুক্ষণ পর সেও বাড়িতে ফিরে আমাকে বলল, হে মহিব! আপনি আমার উপর রাগ করবেন না।

আপনি আমাকে এমন লোকদের মাঝে বসিয়ে রেখেছিলেন, যারা আল্লাহর জিকির হতে গাফেল ছিল। ফলে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, এক্ষুনি হয়তো আল্লাহর গজবে সবাই জমিনের মধ্যে ধ্বসে যাবে এবং আমিও তাদের সাথে ধ্বংস হয়ে যাব।

দাসীর বক্তব্য শুনে আমি বললাম, আল্লাহ পাক এ উম্মতকে নবী কারীম (সাঃ) এর বরকতে ব্যাপক ভাবে ধ্বংস করবেন না। এ বালা তাদের উপর হতে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। দাসী বলল, মানুষের জান মালের উপর থেকে সেই বালা মুসীবত উঠিয়ে নেয়া হলেও তাদের কলব ও আত্মার উপর থেকে সে মুসীবত উঠিয়ে নেয়া হয়নি। মানুষ যদি আল্লাহর আনুগত্য থেকে গাফেল হয়ে পাপচার ও নাফারমানীতে লিপ্ত হয়, তবে এখন ব্যাপকভাবে তাদের আত্মার পতন ঘটতে পারে। সুতরাং হে ঐ ব্যক্তি! যার আত্মার পতন ঘটেছে। এখন সময় আছে নিজের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক হও। মৃত্যু আসার পূর্বেই নিজের আত্মা সংশোধন ও আখেরাতের সামান সংগ্রহ করে নাও। অতঃপর সে নিম্নের কবিতাটি পাঠ করল-

অনুবাদঃ আমাদের নিকট চলে আস এবং অনুশোচনার অশ্রু বর্ষণ কর। পাপ হল মানব জীবনের সবচেয়ে বড় মুসীবত। (কান্নার সাথে ক্ষমা চাইলে) হয়ত আল্লাহ পাক আমাদের উপর করুনা করতে পারেন। দীর্ঘকাল যাবৎ আমি বিচ্ছেদের বন্দীশালায় দুঃখ ভোগ করছি। হে আমার আত্মা! মুহূর্তের জন্যও চিন্তামুক্ত হয়োনা এবং হে আমার চক্ষু এখনই কাঁদার সময়।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।