একটি বকরীর ঘটনা

শায়েখ আবু রাবী (রহঃ) বলেন, কোন এক শহরের পুণ্যবতী এক রমণীর নাম ছিল ফিদ্দা। একবার আমি তার সাথে দেখা করতে গেলাম। মহিলার বস্তিতে গিয়ে শুনতে পেলাম তার একটি বকরীর স্তন থেকে দুধ অন্য স্তন থেকে মধু বের হয়। আমি এ ঘটনা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি এ বকরী কথা থেকে পেয়েছ? ঘটনার বিবরণ দিয়ে সে বলল।

আমি এক সময় নেহায়েত গরিব ছিলাম। একটি মাত্র বকরীই আমাদের সম্বল ছিল। এটি দ্বারাই কোন রকমে আমাদের অভাবের সংসার চলত। আমার স্বামী ছিলেন অত্যন্ত দ্বীনার। কুরবানীর ঈদের সময় তিনি আমাকে বললেন, আমাদের যখন অন্য কোন সম্বল নেই, চল আমরা এই বকরী দ্বারাই কুরবানি করি। আমি বললাম, আমাদের উপর তো কুরবানী ওয়াজিব নয়।

সুতরাং আমাদের জীবিকার একমাত্র উপায় এ বকরীটি কুরবানী করা ঠিক হবে না। তিনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করলেন। পরে একদিন আমাদের ঘরে মেহমান আসলে আমি স্বামীকে বললাম, মেহমানের সম্মান করা কর্তব্য ঘরে আহারের কোন আয়োজন নেই। সুতরাং ঐ বকরীটিকেই জবাই করে ফেলুন। তিনি সম্মত হয়ে বকরী জবাহের আয়োজন করলেন, বকরীটির দুটি ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। আমি স্বামীকে বললাম, তাদের সামনে জবাই না করে দেয়ালের আড়ালে নিয়ে যান।

তিনি দেয়ালের আড়ালে গিয়ে বকরী জবাই করতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পরই আমি ঐ দেয়ালের উপর সেই বকরীটি দেখতে পেয়ে ভাবলাম, স্বামীর হাত থেকে বকরীটি বুঝি ছুটে গেল। দেয়ালের নিকট গিয়ে দেখলাম, তিনি বকরীর চামড়া ছড়াচ্ছেন।

আমি তাকে দেয়ালের উপর অক্ষত অবস্থায় দাঁড়ানো বকরীর কথা জানতে চাইলে তিনি সেদিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে স্তব্দ হয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই জবাইকৃত বকরীর প্রতিদান স্বরূপ তা আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। মেহমানের সম্মানের কারণেই এই বরকত প্রকাশ পেয়েছে।

অতঃপর মহিলা বলল, এটাই সেই বকরী এবং সেই দিন হতেই এর স্তন হতে দুধ ও মধু বের হচ্ছে।

একটি বকরীর ঘটনা

শায়েখ আবু রাবী (রহঃ) বলেন, কোন এক শহরের পুণ্যবতী এক রমণীর নাম ছিল ফিদ্দা। একবার আমি তার সাথে দেখা করতে গেলাম। মহিলার বস্তিতে গিয়ে শুনতে পেলাম তার একটি বকরীর স্তন থেকে দুধ অন্য স্তন থেকে মধু বের হয়। আমি এ ঘটনা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি এ বকরী কথা থেকে পেয়েছ? ঘটনার বিবরণ দিয়ে সে বলল।

আমি এক সময় নেহায়েত গরিব ছিলাম। একটি মাত্র বকরীই আমাদের সম্বল ছিল। এটি দ্বারাই কোন রকমে আমাদের অভাবের সংসার চলত। আমার স্বামী ছিলেন অত্যন্ত দ্বীনার। কুরবানীর ঈদের সময় তিনি আমাকে বললেন, আমাদের যখন অন্য কোন সম্বল নেই, চল আমরা এই বকরী দ্বারাই কুরবানি করি। আমি বললাম, আমাদের উপর তো কুরবানী ওয়াজিব নয়।

সুতরাং আমাদের জীবিকার একমাত্র উপায় এ বকরীটি কুরবানী করা ঠিক হবে না। তিনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করলেন। পরে একদিন আমাদের ঘরে মেহমান আসলে আমি স্বামীকে বললাম, মেহমানের সম্মান করা কর্তব্য ঘরে আহারের কোন আয়োজন নেই। সুতরাং ঐ বকরীটিকেই জবাই করে ফেলুন। তিনি সম্মত হয়ে বকরী জবাহের আয়োজন করলেন, বকরীটির দুটি ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। আমি স্বামীকে বললাম, তাদের সামনে জবাই না করে দেয়ালের আড়ালে নিয়ে যান।

তিনি দেয়ালের আড়ালে গিয়ে বকরী জবাই করতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পরই আমি ঐ দেয়ালের উপর সেই বকরীটি দেখতে পেয়ে ভাবলাম, স্বামীর হাত থেকে বকরীটি বুঝি ছুটে গেল। দেয়ালের নিকট গিয়ে দেখলাম, তিনি বকরীর চামড়া ছড়াচ্ছেন।

আমি তাকে দেয়ালের উপর অক্ষত অবস্থায় দাঁড়ানো বকরীর কথা জানতে চাইলে তিনি সেদিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে স্তব্দ হয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই জবাইকৃত বকরীর প্রতিদান স্বরূপ তা আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। মেহমানের সম্মানের কারণেই এই বরকত প্রকাশ পেয়েছে।

অতঃপর মহিলা বলল, এটাই সেই বকরী এবং সেই দিন হতেই এর স্তন হতে দুধ ও মধু বের হচ্ছে।

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…