ইসলামের হুকুমকে অপছন্দ করে খৃষ্টধর্মের প্রশংসা করায় কঠিন পরিণতি

মক্কায় একজন আলেম মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার পর তাঁকে দাফন  করা হল। কিছু দিন পর অন্য একজনকে সেই আলেমের কবরে দাফনের জন্য কবর খনন করা হল। দেখা গেল, আলামের লাশের পরিবর্তে একটি যুবতীর লাশ পড়ে আছে। একই কবরে একাধিক ব্যক্তি দাফন করা সাউদি আরবের একটি স্বাভাবিক নিয়ম। ঘটনাক্রমে একজন ইউরোপিয় মুসলিম সে সময় কবরের লাশের পাশে ছিলেন। তিনি মেয়েটির লাশ দেখে শনাক্ত করলেন। বললেন, আমি তাঁকে চিনি, তাঁর বাড়ী ফ্রান্সে। তাঁর পিতা মাতা খৃষ্টান কিন্তু সে গোপনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আমার কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বই সে চেয়ে নিয়ে পাঠ করেছে একবার। অল্পদিনের অসুস্থতায় মেয়েটির মৃত্যু হয় এবং তাঁকে ফ্রান্সে কবর দেওয়া হয়।

মক্কার কবরস্থানে মেয়েটিকে দেখে সবাই বলাবলি করতে লাগলো যে, মুসলমান হওয়ার কারণে সে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। এজন্য তাঁর লাশ সাউদি আরবের মাটিতে আল্লাহর আদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু মক্কার আলামের লাশ কোথায়? কেউ কেউ বললেন, মনে হয় ফ্রান্সে যে কবরে এই মেয়েটিকে দাফন করা হয়েছে সেই কবরে মক্কার আলেমের লাশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

হজ্জের সফরে আসা ফ্রান্সের সে মুসলমানকে বলা হল, আপনি মক্কার মরহুম আলেমকে চিনে এরকম একজন লোককে দেশে ফেরার সময় সাথে নিয়ে যাবেন। তারপর ফ্রান্সের মেয়েটির কবর খনন করে দেখা হলো, সেই কবরে মক্কার আলেম রয়েছেন কিনা। ইউরোপীয় মুসলিম তাই করলেন। মেয়েটির পিতাকে সব কথা জানিয়ে তাঁর মেয়ের কবর খনন করা হল। দেখা গেল, মেয়েটিকে যেখানে দাফন করা হয়েছে সেই কবরে রয়েছে মক্কার মরহুম আলেমের লাশ।

মক্কার বিশিষ্ট লোকেরা অভিমত ব্যক্ত করলেন, একজন মানুষ ভাল মন্দ হওয়া সম্পর্কে তাঁর স্ত্রীর মতামতই চূড়ান্ত। কাজেই মক্কার মরহুম আলেমের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর জীবনযাপন এবং আখলাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হোক। মহিলাকে তাঁর স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় মহিলা বললেন, তিনি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন। আমিও তো তাঁর মধ্যে মন্দ কিছু দেখি নাই। মহিলাকে বলা হল ভেবে চিন্তে বলুন, তাঁর মধ্যে নিশ্চয় ভীষণ খারাপ কিছু ছিল, তা না হলে কাফেরদের দেশে তাঁর লাশ যাবে কেন, মহিলা বললেন, তাঁর একটি দোষ ছিল। আমি তাঁর এ দোষের উপর বিরক্ত ছিলাম। আমার সাথে যৌন সহবাসের পর ফরজ গোসল করতে তাঁর ভাল লাগতো না। তিনি বলতেন, খৃষ্টান ধর্মের একটা জিনিস আমার ভাল লাগে, সেটি হচ্ছে। স্ত্রী সহবাসের পর গোসল ফরজ নয়। মহিলাকে তাঁর স্বামী সম্পর্কে যারা জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা বললেন, ব্যস! আমরা বুঝে গেছি। কাফেরদের কোন কিছু পছন্দ করাও কুফরি। আপনার স্বামী যতই নামাজ রোযা করুন না কেন তিনি বেঈমান হয়ে মারা গেছেন। এ কারণেই তিনি কাফেরদের ধর্ম পছন্দ করতেন, তাঁদের দেশে তাঁর লাশ সর্বশক্তিমান আল্লাহর আদেশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।