ইসলামের প্রথম নৌবাহীনী

হযরত উম্মে হিরাম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার ঘরে আরাম করছিলেন। হঠাৎ তিনি স্বপে হেসে উঠলে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি হাসার কারণ জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেলেন, আমি স্বপ্নযোগে দেখতে পেলাম, রাজা বাদশাহরা যেমন জাক-জমকপূর্ণ অবস্থায় সিংহাসনে বসে থাকে। ঠিক তেমনি আমার উম্মতের লোকেরা জাহানের উপর আরোহণ করে যুদ্ধ করছে।

যে দলটি সর্বপ্রথম জেহাদের উদ্দেশে সমুদ্রে ভ্রমণ করবে তাদের উপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। এতদশ্রবণে আমি আরজ করলেম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি দোয়া করুন যেন, আমি ঐ গাজীদের অন্তর্ভুক্ত হই।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তুমি ঐ দলের অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর তিনি সুয়ে পড়লেন এবং পূনরায় হেঁসে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। এবারও আমি হাসির কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যে দলটি সর্ব প্রথম কনস্টান্টিনোপলের বাদশাহের সাথে যুদ্ধ করবে তাদের গুনাহ ক্ষমা হল।

আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমি ঐ গাজীদের অন্তর্ভুক্ত হব। তিনি বললেন, তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও। তুমি প্রথমোক্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছ। ঐ ভবিষ্যদ্বানীতে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

(১) সমুদ্র পথে জিহাদ তথা মুসলিম বিষয় উল্লেখ স্থাপন।

(২) ঐ বাহিনীতে উম্মে হিরামের অংশ গ্রহণ,

(৩) রোম সম্রাটের রাজধানী কনষ্টান্টিনোপলের উপর আক্রমণ।

হযরত ওসমান (রাঃ) এর আমলে ঐ জেহাদ অনুষ্টিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে এই প্রথম নৌঅভিযানী দলের সেনাপতি ছিলেন, হযরত মোয়াবিয়া (রাঃ)। এ অভিযাত্রী দলের মধ্যে হযরত উম্মে হিরামও অংশ গ্রহণ করেন। সফর শেষে যখন তীরে অবতরণ করেন তখন সওয়ারী হতে পড়ে গিয়ে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। উম্মে হিরাম হযরত আবাদার স্ত্রী এবং মহিলা ছাহাবী ছিলেন। যাই হোক, কোনস্টান্টিনোপলের বিরুদ্ধে জেহাদ অনুষ্টিত হয়। এবং নবী করীম (সাঃ) ভবিষ্যদ্বানীতে যে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ ছিলি এর সবগুলোই রুপ লাভ করে। (বুখারী শরীফ)

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।