আযান ও আশুরার রোযা-শেষ পর্ব

প্রথম মোয়াজ্জিন হলেন হযরত বিলাল (রাঃ)। বিলালের আযান শুনে হযরত ওমর (রাঃ) ও অপরাপর সাহাবী দৌড়িয়ে এসে স্বপ্নের কাহিনী বর্ণনা করলেন। হিজরী প্রথম সনেই আযানের প্রথা চালু হয়।

হিজরতের পূর্বে মাগরিব ব্যতিত অন্যান্য সকল নামাজ দু’রাকাত করে ছিল। মাগরিব ছিল তিন রাকাত। হিজরতের দু’মাস পরে একামতের (নিজ বাসগৃহে অবস্থান করা) অবস্থায় জোহর, ও আছর ও এশার নামাজসমূহের দু’রাকাত করে বৃদ্ধি করা হয়। তবে সফরের অবস্থায় বৃদ্ধি করা হয় নি। বরং সাবেক অবস্থায় দু’রাকাত বহাল রাখা হয়।

হিজরত করে মদীনায় পৌঁছার নয় মাস পর রাসূল (সাঃ) দেখতে পেলেন, ইহুদীগণ মহররমের দশ তারিখ রোযা রাখছে। তখন তিনি তাদেরকে এ রোযার কারণ সম্বদ্ধে প্রশ্ন করল। তারা বলল, মহররমের দশ তারিখে আল্লাহ পাকের বিশেষ অবদান রয়েছে আমাদের উপর। এ তারিখে হযরত মূসাকে তার চিরশত্রু ফেরাউন হতে নাজাত দিয়েছেন এবং ফেরাউনকে ধ্বংস করেছিলেন।

আল্লাহর এ মহান অবদানের প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে আমরা এ দিবসে রোযা রাখছি। রাসূল (সাঃ) বললেন, আমরা তোমাদের চেয়েও মূসা (আঃ)-এর অতি ঘনিষ্ঠ। তাই আমরাও এ দিবসের রোযা রাখব। এ বলে রাসূল (সাঃ) রোযা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কিরামকেও আশুরার রোযা রাখার জন্য নির্দেশ দিলেন এবং তা ফরজ করে দিলেন।

কোন কোন সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এতে ইহুদীদের সাথে আমাদের মুশাবাহা হয়ে যাচ্ছে। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে নয় তারিখের রোযাও রাখব, যাতে ইহুদীদের সাথে মুশাবাহা না হয়। কিন্তু আগামী অর্থাৎ পরবর্তী বছর রমজানের রোযা ফরজ হয়ে গেল এবং আশুরার রোযার ফরযিয়াত বাতিল হয়ে গেল। তা কেবল মুস্তাহাব হিসাবে প্রচলিত রইল।

আযান ও আশুরার রোযা-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।