আদম (আঃ) এর প্রতি বিবি হাওয়ার মহর প্রদানের নির্দেশ
মহান রব্বুল ‘আলামীন আদম ও হাওয়ার সাদী মোবারকের খোতবা পাঠান্তে ফেরেশতারা আনন্দ উৎসব করে এবং পরষ্পরকে মোবারকবাদ দিয়ে অলঙ্কারদি ও হীরা-জহরত উৎসর্গ করতে থাকেন। আদম (আঃ) হাওয়া (আঃ) এর সাথে দৈহিক মিলনে প্রবৃত্ত হতে চাইলে আওয়াজ এল- হে আদম! যতক্ষন পর্যন্ত হাওয়ার মহর আদায় না করছ। ততক্ষন সে তোমার জন্য হালাল নয়।
সতর্ক বাণী পেয়ে হযরত আদম (আঃ) নিবেদন করলেন- হে আল্লাহ! আমি কেমন করে হাওয়ার মহর আদায় করব? আল্লাহ পাক আদেশ করলেন দশ বার আমার হাবীব মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি দরূদ পাঠ কর, তাতেই হাওয়ার মহর পরিশোধ হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মানিত ও পবিত্র নাম শুনতেই হযরত আদম (আঃ) তার দর্শন লাভের প্রত্যাশী হলেন, আল্লাহ পাক আদেশ করলেন- তুমি তোমার হাতের নখের প্রতি দৃষ্টি দাও। আদম (আঃ) তার হাতের নখের প্রতি দৃষ্টি দিতেই মুহাম্মদ (সাঃ) এর আকৃতি তার জানা হয়ে যায়।
ফলে তার হৃদয় সন্তান বাৎসল্য ও পিতৃস্নেহে ভরে উঠে। ফলে আদম (আঃ) খুবই আগ্রহ সহকারে দশবার হুজুর (সাঃ) এর প্রতি দরূদ শরীক পাঠ করেন এবং তার প্রতি ঈমান আনেন। তখন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, হে আদম! তুমি যে দরূদ পাঠ করেছ, তার মর্যাদা এত বেশি যে, যার কল্যাণে আমি তোমার জন্য হাওয়াকে হালাল করে দিলাম।
অতপর আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে থাক এবং তা থেকে যা ইচ্ছা সানন্দচিত্তে ভক্ষন কর কিন্তু ঐ গাছের নিকটবর্তীও হয়ো না। অন্যথা তোমরা জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
অর্থঃ তুমি এটা (জান্নাত) পেয়েছ, তুমি এখানে না ক্ষুধার্ত হবে না, বিবস্ত্র ও পিপাসার্ত হবে আর না গরমে কষ্ট পাবে।