মায়ের কোলে মূসা (আঃ) – পর্ব ১
আছিয়া শিশু মূসা (আঃ) -কে পেয়ে সন্তান না থাকার বেদনা ভুলে উৎফুল্ল হল বটে, কিন্তু এ শিশুকে কার দুধ পান করাবেন তা নিয়ে পড়লেন বিপাকে। এ উদ্দেশ্যে তিনি আশপাশের অনেক রমণীকে ডেকে আনলেন।
প্রত্যেক মহিলাই শিশু মূসাকে দুধ পান করানোর দায়িত্ব পেতে চাইল। কেননা, এ শিশুকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে ফেরাউনের নেক দৃষ্টি লাভে সক্ষম হবে।
ফলে তাদের ভাগ্য পরিবর্তিত হবে। কিন্তু তারা বহু চেষ্টা করেও কেউই শিশুকে দুধ পান করাতে সক্ষম হল না। তিনি কারো দুধ পান তো দূরের কথা, স্তনও মুখে দিলেন না।
মূলতঃ আল্লাহ পাকের ইচ্ছাও ছিল এরূপ। কেননা, নিজের মা ছাড়া অন্যের দুধ পান করতে আল্লাহ তাঁকে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন-
অর্থঃ এবং আমি পূর্বেই অন্য রমণীর দুধ পান তাঁর উপর হারাম করেছিলাম।
শিশু মূসা (আঃ) কোন নারীরই দুধ পান করছেন না। এ অবস্থায় আছিয়া মহা চিন্তায় পড়লেন।
এত কিছু করে পুত্রবৎ স্নেহে লালন-পালনের তীব্র আকাঙ্খায় তাকে ফেরআউনের কবল থেকে রক্ষা করলেন, কিন্তু সে কারো স্তন্যই পান করছে না। এ অবস্থায় তাকে কি ভাবে বাঁচানো যাবে।
চিন্তা ভাবনায় আছিয়া একেবারেই ভেঙ্গে পড়েন। কিভাবে এ দুগ্ধ পোষ্য শিশুর প্রাণ বাঁচানো যায়, এর একটা গ্রহণযোগ্য পন্থা বের করার জন্য আছিয়া দাসীদের সকলকে ডেকে পরামর্শ আহবান করেন। তারা সবাই সমস্বরে বলল, নারী দুগ্ধই এ শিশুর একমাত্র খাদ্য হতে পারে।
অন্য কোন বিকল্প খাদ্য দিয়ে দুগ্ধপোষ্য এ শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। তারা এও বলল, অনেক শিশুর জন্মগত স্বভাব হচ্ছে তারা সব মহিলার স্তন্য পান করে না। এ শিশুর অবস্থাও তেমনিই দেখা যাচ্ছে সে কোন মহিলার স্তন্য পান করে তা আরও খোঁজ করে দেখা দরকার।
সুতরাং পরীক্ষার্থে কোন নারীর স্তন্য পান করে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের উপর ছেড়ে দিলে আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। আছিয়াও তাদের পক্ষ থেকে এমন একটি প্রস্তাবই আশা করছিলেন।